বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। পঞ্চায়েতে ভোট নিয়ে শোরগোল বঙ্গ জুড়ে। বহু কল্পনা-জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের (Panchayat Vote) দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ। আগের বারের ন্যায় এবারেও গোটা রাজ্যে এক দফাতেই হতে চলেছে নির্বাচন। অন্যদিকে,কমিশন ঘোষণা করেছে, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। মাঝে ১১ জুন রবিবার বাদ। ফলে মনোনয়ন জমা করার মোট দিনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬।
এই নিয়েই বিরোধিতা করে আসরে কংগ্রেস-বিজেপি। কিভাবে এত কম সময়ে রাজ্যের সমস্ত আসনের জন্য মনোনয়ন সম্ভব! এই প্রশ্নই ছিল বিরোধীদের। তবে শুক্রবার ও শনিবার গোটা রাজ্যে মনোনয়ন পর্ব চলার পর দেখা গেল এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আসনে প্রার্থী দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। দ্বিতীয় স্থান দখলে রেখেছে সিপিএম (CPM)। আর তাৎপর্যপূর্ণ হল বিরোধীদের থেকে অনেক পিছিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
এই নিয়ে অবশ্য তৃণমূলকে বিধঁতেও সময় ব্যয় করেনি গেরুয়া শিবির। মনোনয়ন জমা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “তৃণমূলী সন্ত্রাস উপেক্ষা করে বিজেপির কর্মীবৃন্দ আজকে অবধি সবচাইতে বেশী প্রার্থী পত্র দাখিল করতে সক্ষম হয়েছে।”
* Nomination * (Till 10th June) BJP – 3820 CPI(M) – 2952, TMC – 626, INC – 233
তবে যে শাসকদল দিন ঘোষণার দিন থেকেই বলে আসছে তারা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত, দুদিন শেষে কিনা তাদেরই মনোনয়ন জমা করার সংখ্যা সর্বাপেক্ষা কম! এর পেছনের আসল কারণ কি? অনেকের মতে, লাগাতার গোষ্ঠী কোন্দল সামনে আসায় তৃণমূল জেলাওয়াড়ি প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে সময় নিচ্ছে। আবার অনেকের মতে এর পেছনে রয়েছে ভিন্ন কৌশল।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন জমা করার সময়সীমা বৃদ্ধির দাবিতে আদালতে গিয়েছে বিজেপি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি রয়েছে। এখানেই হয়তো শাসক দল দেখাতে চাইছে যে তারা বিরোধীদের মনোনয়ন পেশ করতে কোনও রকম বাধা দিচ্ছে না। বরং মনোনয়ন জমার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বিরোধীরাই।