নবান্নে গেল আইনি নোটিস! সরকারি কর্মীদের ‘অধিকারের’ লড়াই শুরু?

Published on:

Published on:

government employees(2)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবারই রাজ্য সরকারি কর্মীদের (Government Employees) রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য (West Bengal government) জানিয়েছে, আজ বুধবার (৯ জুলাই) ধর্মঘটের দিন সরকারি কর্মচারীদের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতির জয়েন্ট কমিটি রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে আইনজীবী দীপজ্যোতি চক্রবর্তী এই নোটিস পাঠিয়েছেন।

‘ডাইস নন’ বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে নোটিস | Government Employees

৯ই জুলাইয়ের ধর্মঘটের বিরুদ্ধে সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হবে। পাশাপাশি “ডাইস নন” (কাজের দিন নয়) নীতি প্রয়োগ করে বেতন কাটার কথাও বলা হয়েছে।

‘অধিকারের’ লড়াই শুরু?

রাজ্য সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তির পরই পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতিগুলির জয়েন্ট কমিটি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হল। নোটিসে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি কর্মীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সাংবিধানিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। একপ্রকার ভয় দেখিয়েই কর্মীদের ধর্মঘট থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চলছে, যার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। পূর্ববর্তী মামলার উদাহরণ টেনেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।

যাতে রাজ্য নিজের জারি করা বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে ইমেল মারফত পাঠানো আইনি নোটিসে তাই বলা হয়েছে। যদি সেই অনুরোধ না রাখা হয়, তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করে, বৃহত্তর আইনি লড়াইয়ের কথাও বলা হয়েছে।

কী নিয়ে বিতর্ক?

উল্লেখ্য, বুধবার সর্বভারতীয় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। সেই বনধে যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলিও। কিন্তু সর্বভারতীয় ধর্মঘট হলেও খোলা থাকছে রাজ্য সরকারের (Nabanna) সমস্ত দফতর। তাই বাধ্যতামূলক ভাবে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মীদের।

নবান্নের অডিট ব্রাঞ্চ থেকে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, ৯ ই জুলাই কোনো ভাবেই কোনো ‘ক্যাজুয়াল লিভ’ বা অন্য কোনো ছুটি নেওয়া যাবে না। ওই দিন ছুটি নিলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে কর্মীদের বিরুদ্ধে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাকে ‘ভাইস-নন’ হিসেবে গণ্য করা হবে। একইসাথে কাটা যাবে বেতন।

বিজ্ঞপ্তিতে (Nabanna) আরও বলা হয়েছে, বনধের দিন কোনো কর্মী অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে। কেউ ছুটি নিলে ছুটির কারণ সঠিক ভাবে দর্শাতে না পারলে বা যথাযথ নথি না দিলে ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। যদিও ওই বিজ্ঞপ্তিতে কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথাও বলা হয়েছে।

বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মচারী যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, অথবা তাদের পরিবারের কেউ মারা গিয়েছেন। আবার গুরুতর অসুস্থতার জন্য ৮ জুলাইয়ের আগে থেকেই ছুটিতে থাকা কর্মচারী সহ, ৮ জুলাইয়ের আগেই মঞ্জুর হওয়া চাইল্ড কেয়ার লিভ, মাতৃত্বকালীন ছুটি, মেডিক্যাল লিভ এবং আর্নড লিভ নেওয়া কর্মচারীরা এই বিজ্ঞপ্তির আওতায় আসবেন না।