বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর তিনেক আগে আইন হয়েছিল। তবুও এত দিন তা ছিল শুধু কাগজে-কলমে। এ বার সে আইনের রূপায়ণ ঘটাতে উদ্যোগ নিল উচ্চশিক্ষা দফতর। রাজ্যের সরকার পোষিত কলেজগুলিতে স্থায়ী শিক্ষাকর্মী নিয়োগ (College Recruitment) এখন থেকে হবে কেন্দ্রীয় ভাবে, কলেজ সার্ভিস কমিশনের (College Service Commission) মাধ্যমে। দফতর সূত্রে খবর, নিয়োগবিধির খসড়া ইতিমধ্যেই তৈরি। আইন ও অর্থ দফতরের অনুমোদনের পর প্রকাশ হবে নতুন নিয়ম।

কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ (College Recruitment), বদলে যাচ্ছে পুরনো নিয়ম
আগে প্রতিটি কলেজে নিজস্বভাবে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করত কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব ছিল বলে অভিযোগ। বাম আমল থেকেই চলা এই পদ্ধতি বদলাতে ২০২২ সালে বিধানসভায় পাশ হয় নতুন আইন। কিন্তু সেই আইন কার্যকর করা হয়নি এতদিন। এবার তা বাস্তবায়নের পথে। নিয়োগবিধির খসড়া তৈরি হয়ে পাঠানো হয়েছে আইন দফতরে। অনুমোদন মিললে তা যাবে অর্থ দফতরে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই শুরু হবে কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ।
কসবা ল’ কলেজ কাণ্ডেই ত্বরান্বিত সিদ্ধান্ত?
সম্প্রতি কসবা ল’ কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ছিল কলেজের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী। তার বিরুদ্ধে রাজনীতির মদতে নিযুক্ত হওয়ার অভিযোগও ওঠে। সেই ঘটনার পরেই প্রশ্ন ওঠে, কলেজগুলি কীভাবে কর্মী নিয়োগ করে? কোথাও কোনও যাচাই-বাছাই হয় না? এই ঘটনার ঠিক পরেই কেন্দ্রীয় নিয়োগ ব্যবস্থা কার্যকর করতে গতি আনছে উচ্চশিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুনঃ মনোজিৎ-ত্রাস, প্রকাশ্যে এলো ৬ বছর আগে মনোজিৎকে নিয়ে লেখা অধ্যক্ষের চিঠি! কসবা কাণ্ডে নতুন মোড়

কমিশনের তরফে কী জানা যাচ্ছে?
কলেজ সার্ভিস কমিশনের এক কর্তা বলেন, “নিয়োগবিধি আমাদের হাতে এলেই আমরা কাজ শুরু করব। কোন কলেজে কত শূন্যপদ রয়েছে, সেই তথ্য নেওয়া হবে কলেজগুলির কাছ থেকে।” উচ্চশিক্ষা দফতর, আইন ও অর্থ দফতর মিলেই এই প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ মানস কবি জানান, “কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ (College Recruitment) হলে স্বচ্ছতা বাড়বে।”
নতুন নিয়মের ফলে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে এই প্রক্রিয়া নিঃসন্দেহে অনেক বেশি স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয় কতটা দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।