বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল, কলেজ থেকে অফিস, নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে বহু মানুষের ভরসা বাস। কম খরচে যাতায়াতের এমন মাধ্যম আজকাল খুব কমই রয়েছে। তবে মাঝেমধ্যেই এই বাস (Bus) নিয়ে যাত্রীদের গলায় শোনা যায় অভিযোগের সুর। গত ২ জানুয়ারি বাস পরিষেবা নিয়ে পরিবহণ দফতরকে (West Bengal Transport Department) বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপরেই সামনে আসছে বড় খবর! জানা যাচ্ছে, সরকারি বাস পরিষেবা বাড়াতে এবার উদ্যোগী হচ্ছে পরিবহণ দফতর।
বাস নিয়ে বিরাট উদ্যোগ পরিবহণ দফতরের (West Bengal Transport Department)!
জানা যাচ্ছে, সরকারি বাস পরিষেবার দ্বারা সাধারণ মানুষের যাতায়াত যাতে আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী হয়, সেটা চান মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের নানান প্রান্তে, বিশেষত গ্রামাঞ্চল ও মফঃস্বল এলাকাগুলিতে বাস পরিষেবা সম্প্রসারিত করে মানুষের দৈনন্দিত যাতায়াতকে আরও মসৃণ করে তুলতে চান তিনি। মমতার নির্দেশ, রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। সেই সঙ্গেই বাড়াতে হবে ট্রিপের সংখ্যা।
মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হতেই শোনা যাচ্ছে এই নিয়ে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে পরিবহণ দফতর (West Bengal Transport Department)। রিপোর্ট বলছে, সরকারি বাসের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য অস্থায়ী চালক এবং কন্ডাক্টর পদে কয়েকশো কর্মী নিয়োগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারি বাসগুলির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। তেমনই রাজ্যের বেকার যুবকরা কাজের সুযোগও পাবেন।
আরও পড়ুনঃ নেতাজি যা পারেননি, করে দেখিয়েছেন মমতা! কুণালের মন্তব্যে শুরু রাজনৈতিক তরজা
পরিবহণ দফতর সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পরিষেবা বৃদ্ধি যাতে সম্ভব হয়, সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলার আগেই অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের অনুমোদন চেয়ে নবান্নে (Nabanna) আবেদন করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, প্রথম ধাপে অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ হবে। সেই জন্য যোগ্য প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের বন্দোবস্তও করা হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই রাস্তায় সরকারি বাস বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গেই বৃদ্ধি পাবে বাসের ট্রিপের সংখ্যা। এর ফলে সুবিধা হবে যাত্রীদের।
এই নয়া উদ্যোগ নিয়ে পরিবহণ দফতরের (West Bengal Transport Department) দাবি, এই পদক্ষেপের ফলে যাত্রী পরিষেবায় উন্নতির পাশাপাশি রাজ্যের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। যদি বেশি সংখ্যক বাস চালু হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গেই নতুন চাকরির সুযোগ হওয়ায় বহু পরিবার আর্থিক সুরক্ষা পাবে। তবে এই নতুন উদ্যোগের ফলে অস্থায়ী কর্মচারীদের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি, প্রশিক্ষণ দেওয়ার খরচ সহ বেশ কিছু সমস্যাও উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে পরিবহণ দফতরের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে বাস্তবায়িত করতে এই অসুবিধাগুলি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি রয়েছে।