তিনি যা খান তা কেউই খেতে চায় না, কী এমন থাকে মহুয়ার লাঞ্চে?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য তথা দেশের রাজনীতিতে অন্যতম নাম মহুয়া মৈত্র (Mohua Moitra)। কখনও বিতর্কিত মন্তব্যে, কখনও ছকভাঙা জীবনযাত্রায় প্রায়ই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্টও কিন্তু কম জনপ্রিয় নয়। বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও তা দেখে বোঝার উপায় নেই।রাজনীতির ময়দানে দৌড়ঝাঁপ কম করতে হয় না। নবীনদের টেক্কা (Mohua Moitra) দিয়ে অনায়াসে দীর্ঘ পথ হাঁটতে, মাঠে নেমে ফুটবল খেলতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।

মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra) ফিটনেস রহস্য কী?

মহুয়া মৈত্রের ফিটনেস নজর কাড়ে অনেকেরই। বিনা ক্লান্তিতে এতকিছু কীভাবে করেন তিনি? জানা গেল, রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তাঁর খাবারেই। সম্প্রতি এক সাংবাদিকের কাছে মহুয়া (Mohua Moitra) জানান, লাঞ্চে তিনি যা খান তা নাকি কেউই খেতে চায় না। সংসদের অধিবেশনে বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যান মহুয়া। সে খাবারের ভাগও দিতে হয় না কাউকে। কী থাকে তাঁর লাঞ্চে? না, কোনও আহামরি পদ নয়, মহুয়া (Mohua Moitra) দুপুরের খাবার সারেন ডাল আর ঢেঁড়শের তরকারি দিয়ে। প্রায়শ নাকি এই খাবারটাই খান তিনি।

What does mohua moitra eat for lunch

কী এমন গুণ রয়েছে সবজিতে: পুষ্টিবিদরা বলছেন, পুষ্টিগুণে ভরপুর ঢেঁড়শ। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার, যা হজম প্রক্রিয়াকে মসৃণ রেখে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় রক্তে শর্করার শোষণ ধীর গতিতে হয়। ফলে ঢেঁড়শ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। ঢেঁড়শের ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন : স্বাধীন ‘দেশ’ বালোচিস্তান? সলমনের মন্তব্যে বিতর্ক, পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা ভাইজানকে?

কী লাভ হয় ঢেঁড়শে: ঢেঁড়শে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে রয়েছে যা যথাক্রমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। ঢেঁড়শে ক্যালোরি কম থাকায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। অন্যদিকে ডাল মূলত উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভালো উৎস। ডাল পেশি গঠনে সহায়তা করে, এতে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

আরও পড়ুন : SIR নিয়ে কোনও প্রশিক্ষণই নেই নতুন আধিকারিকদের! রাজ্যের ‘চালে’ মাথায় হাত নির্বাচন কমিশনের

ডালে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। ডাল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ মাছ মাংস না খেয়েও প্রতিদিনের খাবারে সমতা বজায় রাখলে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় যথেষ্ট।