“ট্রেন”-কে বাংলায় কি বলে জানেন? এই উত্তর নেই বড় বড় বুদ্ধিজীবীদের কাছেও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ট্রেনে (Train) চাপেননি এমন মানুষ আমাদের দেশে অন্তত খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কারণ, ভারতের পরিবহণ ব্যবস্থায় অন্যতম গণপরিবহণ হল ট্রেন। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। শুধু তাই নয়, নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি দূরের সফরের ক্ষেত্রেও রেলপথের (Indian Railways) জুড়ি মেলা ভার।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অন্যান্য গণপরিবহণগুলির তুলনায় ট্রেন সফরে যাতায়াতের খরচও অনেকটাই কম হয়। আর সেই কারণেই ভারতীয় রেলকে দেশের “লাইফলাইন” বলা হয়ে থাকে। পাশাপাশি, ভারতীয় রেল সমগ্ৰ বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। এদিকে, এশিয়ার মধ্যে এটি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।

What is a train called in Bengali

এমতাবস্থায়, ভারতীয় রেল এবং তার খুঁটিনাটি জানার জন্য সকলেই কমবেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন। এমনকি কিছু কিছু এমন প্রসঙ্গও রয়েছে যেগুলি জানার পর রীতিমতো হুঁশ উড়ে যায় সবার। এমনিতে, ট্রেনে চড়লেও কখনও ভেবে দেখেছেন যে, “ট্রেন”-কে বাংলায় কি বলে? প্রথমে প্রশ্নটা শুনে কিছুটা ভিরমি খেলেও জেনে অবাক হবেন যে, ট্রেনেরও একটি বাংলা নাম রয়েছে। বর্তমান প্ৰতিবদনে আজ আমরা সেই প্রসঙ্গটি উপস্থাপিত করছি।

আরও পড়ুন: এবার শতাব্দী-রাজধানীর জায়গা নিতে চলেছে বন্দে ভারত! কেন এমন সিদ্ধান্ত রেলের? জানলে অবাক হবেন

মূলত, ট্রেনেরও যে বাংলা নাম থাকতে পারে সেটাই অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য। অধিকাংশজনই এই নামটি জানেন না। মনে করা হয় যে, “ট্রেন” শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ফরাসি শব্দ “ট্রেনার” থেকে। ইংরেজিতে “ট্রেন” শব্দটির মাধ্যমে এক ধরণের পরিবহণকে বোঝানো হয়। সাধারণত ট্রাকের সাহায্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পণ্য কিংবা মানুষ পরিবহণ করার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, ট্রেন শব্দটি হল একটি সংক্ষিপ্ত রূপ। ইংরেজিতে যেটির পূর্ণরূপ হল “Tourist Railway Association Inc.”

আরও পড়ুন: যাত্রী সংখ্যা কম থাকলে সংরক্ষিত স্লিপার কোচ হয়ে যাবে জেনারেল বগি! নতুন নির্দেশ রেলের

ট্রেনকে বাংলায় কি বলে: তবে, এবারে আসা যাক ট্রেনের বাংলা নামের প্রসঙ্গে। জেনে অবাক হবেন যে, ট্রেনকে বাংলায় বলা হয় “লৌহপথগামিনী” বা “লৌহশকট”। এই নাম প্রায় সকলের কাছেই অজানা। এমনকি, অনেক বুদ্ধিজীবীরাও এই নামটি সম্পর্কে অবহিত নন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর