বাংলাহান্ট ডেস্ক : কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) তদন্তে নেমেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। গণধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসেবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যে প্রাক্তন নেতা মনোজিৎ মিশ্রের নাম উঠে এসেছে, তাঁর বিরুদ্ধে আগেও একাধিক থানায় যৌন হেনস্থার মামলা দায়ের রয়েছে বলে অভিযোগ। কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) আরো দুই অভিযুক্তকে জেরা করেই একাধিক বিষ্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। জানা গিয়েছে, অপর দুই অভিযুক্ত নাকি দাবি করেছে, তাঁরা সেদিন যা যা করেছিলেন সবটাই ‘দাদা’র নির্দেশে।
কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) উঠে এল বিষ্ফোরক তথ্য
পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে সেদিনের ঘটনা বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, কলেজের মূল গেটে তালা দিয়ে গার্ড রুমে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, পুলিশের জেরায় অপর দুই অভিযুক্ত কলেজের ছাত্র জানিয়েছে, ‘দাদা’ অর্থাৎ মনোজিতের নির্দেশেই নাকি সবকিছু করেছিলেন তাঁরা। এমনকি ‘দাদা’র নির্দেশেই নাকি তাঁরা ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ড করে রেখেছিলেন। এর নেপথ্যে আরো বড় পরিকল্পনা ছিল বলেও জানা গিয়েছে জেরায়।
ভিডিও রেকর্ডের পেছনে বড় পরিকল্পনা: জানা যাচ্ছে, ওই ভিডিওর মাধ্যমে ব্ল্যাকমেল করে যাতে ভবিষ্যতে আবারও ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া যায় তার জন্যই নাকি ভিডিও রেকর্ড করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কলেজের (Kasba Law College) মধ্যে ওই কলেজেরই একজন ছাত্রীকে কীভাবে এমন সুপরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরো পড়ুন : বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ BNP নেতার, উত্তাল বাংলাদেশ! এবার ইউনূসের বাংলাদেশকে চরম সতর্কবার্তা ভারতের
দায়ের জনস্বার্থ মামলা: এই ঘটনায় তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে সিট। অন্যদিকে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে কসবার (Kasba Law College) ঘটনা নিয়ে দায়ের করা হয়েছে তিনটি জনস্বার্থ মামলা। ঘটনার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। অন্যদিকে কেন্দ্রের নির্দেশে বিজেপির একটি তদন্তকারী কমিটি এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। এ বিষয়ে তদন্ত করে তারা রিপোর্ট দেবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে।
উল্লেখ্য, কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কলেজেরই সহপাঠী এবং জুনিয়ররা। কলেজের (Kasba Law College) এক প্রাক্তন ছাত্রী জানিয়েছেন, ধৃত মনোজিৎ নাকি লুকিয়ে মেয়েদের ভিডিও করত। তারপর সেগুলি বিকৃত করে শেয়ার করত বন্ধুদের। মেয়েদের সঙ্গে কাটানো ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও করে রাখার অভিযোগও রয়েছে মনোজিতের (Kasba Law College) বিরুদ্ধে। সেই সব ছবি, ভিডিও দেখিয়েই নাকি মেয়েদের শরীর নিয়ে কুরুচিকর কথা বলত সে এবং তাঁর বন্ধুরা। শুধু তাই নয়, কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নাকি ডেকে ডেকে সে বলত, ‘তুমি আমায় বিয়ে করবে?’ ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতাকেও একই কথা বলেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে মনোজিতের বিরুদ্ধে।