বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরজিকর আন্দোলনের (RG Kar Protest) বেশ কয়েক মাস পর আবারো চর্চায় আন্দোলনের পরিচিত মুখেরা। কাউন্সেলিংয়ে নির্ধারিত হাসপাতালের বদলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই পোস্টিং দূরে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনের (RG Kar Protest) তিন প্রধান দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো এবং আসফাকুল্লা নাইয়া। তাঁদের অভিযোগ, কাউন্সেলিং এর সময় কে কোথায় নিয়োগ চান, তা জিজ্ঞাসা করা হলেও মেধা তালিকা প্রকাশ পেতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের অন্যত্র পোস্টিং দেওয়া হয়েছে।
পোস্টিং বিতর্কের জেরে কাজে যোগ দেওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা আরজিকর আন্দোলনের (RG Kar Protest) মুখদের
নিয়ম অনুযায়ী, স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দিলে তিন বছরের বন্ড থাকে। সেই বন্ডের হিসেবেই সরকার তাঁদের নিয়োগ করে। কাউন্সেলিংয়ে মেধা তালিকায় থাকা চিকিৎসকেরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী জায়গা বেছে নিতে পারেন। কোনো চিকিৎসক যদি বন্ড না মানেন বা তিন বছরের আগে বন্ড ভেঙে বেরিয়ে যান তবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে টাকা দিতে হয়।
কত টাকা দিতে হতে পারে: জানা যাচ্ছে, তিন বছরের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা হতে পারে টাকার অঙ্ক। অর্থাৎ দেবাশিসরা যদি এখন কাজে যোগ না দেন তাহলে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হতে পারে তাঁদের। উল্লেখ্য, দেবাশিস চৌধুরী (RG Kar Protest) সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন দু বছর আগে। আর এক বছর বাকি রয়েছে তাঁর। ফলে এমতাবস্থায় যদি তিনি কাজে যোগ না দেন তাহলে অবশিষ্ট এই এক বছরের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাঁকে। তবে অনিকেত মাহাতো এবং আসফাকুল্লা নাইয়াকে পুরো টাকাটাই দিতে হবে বলে খবর।
আরো পড়ুন : টলি নায়কের বাড়ির পুজোয় ভিন্ন মেজাজে দিলীপ ঘোষ, রাজনীতি ভুলে ছিপ ফেললেন পুকুরে!
সমস্যা হবে চিকিৎসকদের: এ বিষয়ে প্রাক্তন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা বলেন, আইনি লড়াই বা ব্যক্তিগত কারণের জেরে যদি কেউ কাজে যোগ দিতে দেরি করেন তবে এতে তাদেরই ক্ষতি। ভবিষ্যতে অধ্যাপনা করতে গেলেও এক বছর অন্তত সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। তবে দেবাশিস সহ তিনজনের শংসাপত্র এখন স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জমা রয়েছে। তাই বন্ডের বিষয়টি যতক্ষণ না মিটছে ততক্ষণ অন্য কোথাও কাজে যোগ দিতে পারবেন না তাঁরা।
আরো পড়ুন : রাজস্থান-গুজরাটের পর রণমূর্তি, বঙ্গ সফরের আগেই দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে ঠুকলেন মোদী
প্রসঙ্গত, ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সদস্যদের অভিযোগ, কাউন্সেলিংয়ের সময় দেবাশিস, অনিকেত এবং আসফাকুল্লা জানিয়েছিলেন, তাঁরা যথাক্রমে হাওড়া, আরজিকর (RG Kar Protest) এবং আরামবাগ হাসপাতালে পোস্টিং চান। বন্ডেও সই করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায় দেবাশিসের গাজোলে, অনিকেতের রায়গঞ্জে এবং আসফাকুল্লার পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এমনটা করা হয়েছে। কারণ মেধাতালিকায় ১৬০০ জনের মধ্যে বাকি সকলের পছন্দের জায়গায় পোস্টিং হলেও বদলে গিয়েছে শুধু এই তিনজনের ক্ষেত্রে। এর জন্য মঙ্গলবার সারাদিন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভেও বসেন WBDF এর সদস্যরা।