বাংলাহান্ট ডেস্ক : আঠেরো বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই খাতায় কলমে ছেদ পড়ল সেই সম্পর্কে। আলিপুর দায়রা আদালতে শিলমোহর পড়ল দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদের নথিতে। বান্ধবী বৈশাখীর জীবনের এই বিশেষ সময়টিতেও পাশে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখীর সবুজ ঢাকাইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে সবুজ পাঞ্জাবীতেই আদালতে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
বৈশাখীর ডিভোর্সে যে খুশি তিনি সেকথা একাধিকবার জানিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। তিনি জানিয়েছেন যে এতদিন পর অবশেষে মুক্তির স্বাদ পেল বৈশাখী। তবে কি এবার আরও বড় পরিণতির দিকেই এগোচ্ছে শোভন বৈশাখীর সম্পর্ক?
গত চার বছর ধরেই সহবাস করেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গেই থাকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে মেহুল। মেয়ের জীবনেও শোভনের প্রভাব অপরিসীম বলেই দাবি বৈশাখীর। এই যুগলকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই রাজ্যবাসীর। মানুষের সেই কৌতুহলের খোরাক দিতেও অবশ্য পিছপা হন না তাঁরা। কখনও স্যোশাল মিডিয়ায় অন্তরঙ্গ ছবি, আবার কখনও একই সঙ্গে রংমিলান্তি পোষাকে ঘোরাঘুরি, সর্বদাই একই সঙ্গে দেখা মেলে তাঁদের। এমনকি পুজোর সময় বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছিল শোভনকে। শুধু তাই নয়, এদিন বিবাহ বিচ্ছেদের পরও কার্যতই শাঁখা সিঁদুর পরিহিতা রূপেই ধরা দিলেন বৈশাখী। ফলে কার্যতই ইতিমধ্যেই বিয়ে সেরেছেন এই যুগল, এই জল্পনা তুঙ্গে।
এতদিন অবশ্য এই নিয়ে সেই অর্থে স্পষ্টভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি দুজনকেই। বিয়ের কথা অস্বীকার না করলেও স্বীকারও করেননি কেউওই। কিন্তু এবার আইনী ভাবেই মুক্ত বৈশাখী। স্ত্রী রত্নার সঙ্গে ওই আদালতেই বিচ্ছেদের মামলা চলছে শোভনের। তবে কি বিচ্ছেদ পাওয়ার পর বিয়ের পিঁড়িতে দেখা যাবে রাজ্যের অন্যতম বিতর্কিত এই জুটিকে?
এই ব্যাপারে বৈশাখী বলেন, ‘কাগজে কলমে কে কাকে বিয়ে করল, আর কাগজে কলমে কার সঙ্গে কার বিচ্ছেদ হল এগুলো আমরা মানি না। আমরা দুজন কাউকে ঠকাইনি। আমরা দুজন দুজনের সঙ্গে কমিটেড।আমাদের সম্পর্কে কোনও খাদ নেই।’ বৈশাখীর এহেন মন্তব্য যে তাঁদের গোপন বিয়ের জল্পনাতেই শিলমোহর দিল তা বলাই বাহুল্য।