চিনির পরিবর্তে সুগার ফ্রি, মধু, রিফাইন্ড সুগার ইত্যাদি খেয়ে থাকেন অনেকেই এতে শরীরের বেশী ক্ষতি হয় কারণ শরীরের ক্যালোরির মাত্রা আমরা বুঝতে পারিনা। আর এর পাশাপাশি রান্নায় চিনির ব্যবহার এবং খাবার সময় অনেকে চিনি খান সাধারণত দুধে বা তরকারি বা রুটির সাথে। সেই ক্ষেত্রে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে বেশি করে না হলে চিনির বিকল্প খেয়ে লাভ হবেনা।
অনেকের একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে বেশি চিনি খেলে সুগার বা ডায়াবেটিস হয় এটা একদমই ভুল ধারণা। তবে ডায়াবেটিস হলে আমাদের চিনির পরিমান কমানো উচিত। আর মিষ্টি ফল, মিষ্টি খাবার, সন্দেশ, কেক, পেস্ট্রি এসব মেপে খেতে হবে। খাবার খাওয়ার সময় চিনি কম ব্যবহার করতেই হবে। তাই বলে একেবারে চিনি খাবোনা এমনটাও ভুল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর রিপোর্ট বলছে ভারতীয়দের শরীরের গঠন অনুযায়ী একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক পুরুষ দিনে ৮ চামচ চিনি খেতে পারে। মহিলারা দিনে ৬ চামচ চিনি খেতে পারেন। তবে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই শরীরের ওজন যথাযথ থাকলেই এই পরিমাণ চিনি খাওয়া যায়।
দেহের ওজন অতিরিক্ত হলে এই পরিমাণ চিনি খাওয়া যায় না। তাই যদি চিনির পরিমান কমাতে চান সেক্ষেত্রে উচিৎ একটা ঠিকঠাক ডায়েট মেনে চলা. আর শরীরের যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমাদের ডাক্তাদের দেখানো উচিত কারণ শরীরের কি প্রয়োজন, কতটা প্রয়োজন এটা একমাত্র ডাক্তারদের পক্ষে বোঝা সম্ভব।
এক্ষেত্রে আমাদের মনে হতে পারে আমরা সঠিক পরিমানে খাবার খাচ্ছি। কিন্তু সেটা বাস্তবে শরীরের আরও বেশি ক্ষতি করছে। আর শরীরকে সচল রাখতেই নুন চিনি এসব কম খাওয়াই শ্রেয়।