বাংলাহান্ট ডেস্ক- এবারের দীপাবলিতে দেশবাসীকে নিউ জেনারেশন জিএসটি (GST) উপহার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকেই এই নিয়ে বড় ঘোষণা করেন তিনি। তিনি জানান, “এই দীপাবলিতে(Diwali) আমি দ্বিগুণ কাজ করব। গোটা দেশবাসীর জন্য আমার তরফ থেকে নতুন উপহারও রয়েছে।” তাঁর বক্তব্য থেকে বোঝা যায় এই দীপাবলিতে নতুন জিএসটি (GST) সংস্কার হতে চলেছে।
নিউ জেনারেশন জিএসটি-তে দেশবাসীর লাভ-
১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এই নতুন জিএসটি(GST) সংস্করণের বিষয়টি উঠে আসে। আট বছর ধরে বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করে ফের একবার জিএসটি (GST) সংস্করণ হতে চলেছে। যার ফলে করার হারও বেশ অনেকটাই কমবে বলে জানা যাচ্ছে। তিনি জানান, “গত আট বছরে আমরা জিএসটি নিয়ে বড় সংস্কার করেছি। যার জন্য গোটা দেশে কর(Tax) কম হওয়ার সথে স্যাথে, কর নীতি ব্যবস্থাও সরল করা গেছে। আট বছর পর, সময়ের দাবি মেনেই এবার ফের সংস্করণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে হাই-পাওয়ার কমিটি দিয়ে রিভিউ-এর পাশাপাশি রাজ্যগুলির সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে এই দীপাবলির মধ্যেই নতুন প্রজন্মের জন্য জিএসটি সংস্কার দেশবাসীর জন্য উপহার হয়ে আসবে। তার ফলে করের হার অনেকটাই কমে যাবে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বেশ উপকৃত হবে ।”
কোন কোন জিনিসের দাম কমবে – নয়া জিএসটি কাঠামো কার্যকর হলে তাতে থাকতে পারে মাত্র দুটি ট্যাক্স স্ল্যাব, ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশ। সূত্রের খবর, জিএসটি কাউন্সিলের তরফে নতুন এই কর কাঠামোয় অনুমোদনও মিলেছে। আর এই কর কাঠামো চালু হলেই ১২ শতাংশ করের আওতায় থাকা ৯৯ শতাংশ পণ্যই নেমে আসবে ৫ শতাংশ করের আওতায়। যার ফলে, খরচ কমবে আমজনতার।ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে নতুন এই জিএসটির ফলে দাম কমতে পারে, মোবাইল, কম্পিউটার, রেডি-মিক্স কংক্রিট এবং সিমেন্ট, জুতো, সেরামিক, টাইলস, গাড়ি, রে্ফ্রিজারেটর, টিভি ওয়াশিং মেশিন ও এসির পাশাপাশি দাম কমতে পারে, টুথপেস্ট, টুথ পাউডার, সাবান, তেলেরও।
নতুন জিএসটি সংস্করণে সরকারের লাভ- ২৮ শতাংশের স্ল্যাবে থাকা জিনিসপত্রের বেশিরভাগই ১৮ শতাংশের স্ল্যাবে নেমে গেলে আমজনতার তো সুবিধা হবেই, কিন্তু নতুন জিএসটি থেকে সরকারের আয় কমে যাবে তো! তবে সরকারের এই জিএসটি থেকে কী লাভ হবে? বর্তমানে জিএসটির যে স্ল্যাব চালু রয়েছে সেখানে ১৮ শতাংশের স্ল্যাব থেকেই সবচেয়ে বেশি অর্থ আসে, প্রায় ৬৫ শতাংশ। আর ২৮ শতাংশ স্ল্যাব থেকে আসে ১১ শতাংশ অর্থ।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন জিএসটি চালু হলে সরকারেরও ভালোই লাভ হবে। সেক্ষেত্রে যখনই করের পরিমাণ কমবে তখনই জিনিসপত্র কেনার হিড়িকও পড়বে। তাছাড়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমিয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে। ফলে করের পরিমাণ কমলেও কেনাকাটা বৃদ্ধি পেলে কর আদায়েও খুব একটা কাল ঘাম ছোটাতে হবে না সরকারকে।