বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৪ সালের জোরালো মোদী (Narendra Modi) স্রোত ১৯ সালে চোরাস্রোতে পরিণত হবার পর এখন যে অনেকটাই ক্ষমতা হারিয়েছে, কার্যত তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে পরপর বিধানসভা নির্বাচন গুলিতে। বাংলায় সমস্ত শক্তি কাজে লাগালেও ক্ষমতা দখল করতে পারেনি বিজেপি। আর তিন বছর পর ফের একবার শুরু হবে ‘কিসসা কুরসিকা’। তা নিয়ে এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি।
অন্যদিকে তিন নতুন কৃষি আইনের জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রের শাসক দলকে। এমনকি যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও ক্রমশ তৈরি হচ্ছে বিজেপি বিরোধী আশঙ্কার মেঘ। যা কাজে লাগিয়ে আগামী লোকসভায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করতে মরিয়া বিরোধীরা। শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে পাঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডেও।
এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের মধ্যে তৈরি হওয়া অসন্তোষকে কিছুটা প্রশমিত করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে কেন্দ্র। প্রায় ৭৫ বছরের পুরনো রণনীতি ফের একবার কাজে লাগাতে চাইছে তারা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অন্যায় কাজ রুখতে একসময় বল্লভ ভাই প্যাটেলের (Sardar Ballabhbhai Patel ) কাছে দরবার করেছিলেন কৃষকরা। সরদার বল্লভ ভাই পরামর্শ দিয়েছিলেন সমবায় গঠনের যাতে ফোড়েদের হাত থেকে মুক্তি পায় কৃষকরা।
সেই পরিকল্পনাকেই আরেকবার কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। তড়িঘড়ি সমবায় মন্ত্রক করে অমিত শাহকে (Amit Shah) তার প্রধান হিসেবে বসানোর মধ্যে এই রণনীতিরই ছায়াপাত দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অতীতেও সমবায়ের মাধ্যমে আমুলের মত দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছিল গুজরাট। এবার গোটা দেশেই এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে মরিয়া কেন্দ্র। কৃষি ব্যবস্থা থেকে ফোড়েদের উপড়ে ফেলতে পারলে কৃষকদের উপকার হবে বলে অভিমত তাদের।
ইতিমধ্যেই ক্যাবিনেট সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “দেশে সমবায় ব্যবস্থা জোরদার করতে পৃথক প্রশাসনিক, আইনি এবং নীতি সংক্রান্ত কাঠামো তৈরি করবে এই মন্ত্রক। যা সত্যিকারের মানুষ-ভিত্তিক ব্যবস্থা হিসেবে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে সমবায় ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করবে।” আগামী লোকসভায় পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তাবুক বলে দেবে সময়ই।