আম্বানি-আদানি নয়, দেশের সবথেকে দামি ফ্ল্যাটের মালিক এই ব্যক্তি! নাম জানলে হয়ে যাবেন “থ”

বাংলা হান্ট ডেস্ক: যখনই দেশের (India) সবচেয়ে দামি বাড়ির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হয় তখন প্রথমেই মাথায় আসে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার কথা। মুম্বাইয়ের দক্ষিণে আলটামাউন্ট রোডে অবস্থিত আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার মূল্য ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা। মোট ২৭ তলার এই বাড়িটিতে হেলিপ্যাড থেকে শুরু করে সুইমিং পুল, থিয়েটার এবং কয়েকশ গাড়ির পার্কিং সহ আরও একাধিক সুবিধা রয়েছে। তবে, আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার কথা তো অনেকেই জানেন! কিন্তু, আপনি কি জানেন দেশের (India) সবচেয়ে দামি ফ্ল্যাটের কথা? বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করব।

দেশের (India) সবথেকে দামি ফ্ল্যাট:

সম্প্রতি ভারতের (India) সবচেয়ে দামি ফ্ল্যাটের চুক্তি হয়েছে দেশের আর্থিক রাজধানী মুম্বাইয়ে। মোট ৩৬৯ কোটি টাকায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। যার ওপর ভর করে সেটি দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অ্যাপার্টমেন্ট হিসেবে বর্তমানে বিবেচিত হচ্ছে। জানিয়ে রাখি যে, দক্ষিণ মুম্বাইয়ের মালাবার হিলসের এই সি-ফেসিং অ্যাপার্টমেন্টের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল চুক্তি হয়েছে। ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, লোধা গ্রুপের কোম্পানি ম্যাক্রোটেক ডেভেলপারস এই বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করেছে। লোধা মালাবার সুপার লাক্সারি রেসিডেন্সিয়ালের এই অ্যাপার্টমেন্টটিকে দেশের সবচেয়ে দামি ফ্ল্যাট বলে মনে করা হয়।

   

Who owns the most expensive flat in India.

তবে, আপনি যদি মনে করেন যে মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি বা রতন টাটার মতো বড় ব্যবসায়ীরা এই দামি ফ্ল্যাটটি কিনেছেন, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। জানিয়ে রাখি যে, বিখ্যাত শিল্পপতি জেপি তাপাড়িয়া দেশের সবচেয়ে দামি ফ্ল্যাটের মালিক। তাপাড়িয়া পরিবার লোধা মালাবার সুপার লাক্সারি রেসিডেন্সিয়াল টাওয়ারে ২৬, ২৭ এবং ২৮ তলায় ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট কিনেছে।

আরও পড়ুন: এবার রাজনীতির ময়দানে “এন্ট্রি” নিলেন জাদেজা! স্ত্রীকে অনুসরণ করেই যোগ দিলেন BJP-তে

১.০৮ একর জুড়ে বিস্তৃত এই অ্যাপার্টমেন্টের সৌন্দর্য হল এর সি-ফেসিং দৃশ্য। এই ফ্ল্যাটের ড্রয়িংরুম ও বেডরুম থেকে আরব সাগরের ঢেউয়ের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। বিলাসবহুল এই ফ্ল্যাটের ইন্টেরিয়রটিও দেখার মতো। এই ট্রিপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টের কার্পেট এরিয়া ২৭,১৬০ বর্গফুট। লোধা মালাবার প্রজেক্টের আর্কিটেক্ট হল বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আর্কিটেকচার কোম্পানি হাফিজ কন্ট্রাক্টর। পাশাপাশি, ইন্টেরিয়রের কাজ স্টুডিও HBA দ্বারা সম্পন্ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক T20 ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড! সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মাত্র ১০ রানেই গুটিয়ে গেল এই দল

জানিয়ে রাখি যে, এই ফ্ল্যাটের জন্য ১৯.০৭ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি ​​দিয়েছিল তাপাড়িয়া পরিবার। বাজাজ অটোর চেয়ারম্যান নীরজ বাজাজও একই অ্যাপার্টমেন্টে ২৯, ৩০ এবং ৩১ তলায় একটি ট্রিপ্লেক্স কিনেছিলেন। যার জন্য তিনি খরচ করেছিলেন ২৫২.৫ কোটি টাকা। উল্লেখ্য যে, জেপি তাপাড়িয়া হলেন দেশের (India) একজন সুপরিচিত ব্যবসায়ী। যিনি ১৯৯০ সালে ফেমি কেয়ার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি এই সংস্থাটিকে এত বড় করে তোলেন যে আজ ফেমি কেয়ার বিশ্বের বৃহত্তম কপার-টি ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। ২০১৭ সালের শুরুতে, তিনি ৬০ কোটি টাকায় মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে ১১,০০০ বর্গফুটের ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর