বাংলা হান্ট ডেস্ক : শিক্ষকের মৃত্যুর পর তার মৃতদেহ নিয়ে তর্কাতর্কি। রাতভোর ধরে চলে কথা কাটাকাটি। শিক্ষকের মৃত্যু অদ্ভুতভাবে পারিবারিক বিবাদের জন্ম দিয়েছে। অবাক করা এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের রতনপুর স্টেশন মোড় এলাকায়।
নিহত শিক্ষকের নাম রাজিন্দর মাহাতো (Rajindar Mahato)। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৫৮। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেছিলেন তিনি। এই শিক্ষকের নাকি তিনটি স্ত্রী আছে বলে দাবি করেছে পরিবার।
রাজিন্দর মাহাতোর প্রথম স্ত্রী সঙ্গীতা মাহাতো, ইনি বিহারের বলরামপুরের জাংজারপুরে থাকেন। এনাদের এক মেয়ে এবং দুই ছেলে রয়েছে। এনার দ্বিতীয় স্ত্রী ডলি মাহাতো, ইনি থাকেন বাসুদেবপুর, সামশেরগঞ্জ, মুর্শিদাবাদে। এনারও এক সন্তান রয়েছে। এরইমধ্যে কয়েকবছর আগে তৃতীয় স্ত্রী বন্দনা সাহাকেও বিয়ে করেন।
আরও পড়ুন : সরকারি কর্মচারীদের ‘ললিপপ’ দেওয়া হল! DA বৃদ্ধির ঘোষণায় বড় ফাঁকি, বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু
যদিও প্রথম দুই স্ত্রী আলাদাভাবে বসবাস করছিলেন। শিক্ষকের মৃত্যুর খবর তাদেরকে একত্রিত করে। তৃতীয় স্ত্রী বন্দনা সাহা বলেন, শিক্ষকের অসুস্থতা নিয়ে তিনি কিছুই জানতেন না এবং তার মৃত্যু নিয়েও তিনি অবগত ছিলেন না।
সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ছোট স্ত্রীর ঝামেলা বাঁধে। দ্বিতীয় স্ত্রী ডলি মাহাতো দাবি করেন, শিক্ষক তাকে সম্পত্তির সব কিছু লিখে দিয়েছেন। তবে ছোট স্ত্রী তা মানতে নারাজ। তার প্রথম স্ত্রী মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই বিহার থেকে ছুটে এসে পৌঁছান মুর্শিদাবাদ। তারপরেই তিন স্ত্রী এর মধ্যে শুরু হয় সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ।
আরও পড়ুন : সম্পদ বৃদ্ধিতে আদানি আম্বানিও ফেইল! সাবিত্রী জিন্দালের সম্পত্তির খতিয়ান দেখলে ভিরমি খাবেন
বিষয়টি সমাধানের জন্য, পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং রাজিন্দর মাহাতোর মৃতদেহ বিহারের প্রথম স্ত্রী সঙ্গীতা মাহাতোর কাছে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বৃহস্পতিবার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ। আর এদিকে শিক্ষকের দেহ নিয়ে তিন স্ত্রীর টানাটানি যা এলাকায় হইচই সৃষ্টি করেছে।