এই কারণে শ্রদ্ধাকে হত্যা! পলিগ্রাফ টেস্টের পর চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন আফতাবের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিল্লিতে তরুণী শ্রদ্ধা ওয়ালকরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে (Sradhdha Walkar Murder Case) শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। দিল্লিতে লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুন করে ৩৫ টুকরো করে দিল্লিতেই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেয় প্রেমিক আফতাব আমিল পুনাওয়ালা। সেই ঘটনার স্মৃতি এখনও অনেকের মনেই টাটকা। এখন একটাই দাবি, শ্রদ্ধা খুনের বিচার চাই। সেই খুনের ঘটনায় প্রতিদিনই নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারিদের হাতে। লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুন করার জন্য কোনও অনুশোচনা নেই খুনি আফতাবের। মঙ্গলবার আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পর এমনটাই জানালেন আধিকারিকরা।

শ্রদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে সে। পলিগ্রাফ টেস্ট প্রসঙ্গে ফরেন্সিক ল্যাবের আধিকারিকরা জানান যে, শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের কথা আফতাব স্বীকার করে নিয়েছে। শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ছড়িয়ে ফেলার কথাও সে স্বীকার করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, তার সঙ্গে যে একাধিক মহিলার সম্পর্কও ছিল, সে কথাও মেনে নিয়েছে অভিযুক্ত আফতাব। অথচ গোটা বিষয়টি নিয়ে তার মধ্যে কোনও আক্ষেপ বা অনুশোচনাও যে নেই সে কথাও পরিস্কার জানিয়েছে সে।

কেন শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল সে? তার উত্তর ছিল, শ্রদ্ধা তার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে দিতে চেয়েছিল। যা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেনি আফতাব। শ্রদ্ধা তাকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল, লিভ ইন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের কথা জানার পরেই রেগে যায় সে। এরপরই রাগের মাথায় সে শ্রদ্ধাকে খুন করার পরিকল্পনা করে।

ল্যাব আধিকারিকরা এও জানিয়েছেন যে, অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা পলিগ্রাফ টেস্টের সময় যথেষ্ট স্বাভাবিক আচরণই করছিল। শান্তভাবে শ্রদ্ধা খুনের সঙ্গে জড়িত গোটা বিষয় খুলে বলেছে সে। অবশ্য মাঝে একবার তাঁকে একটু অস্থির লাগছিল, সে সিগারেটও চেয়েছিল বলে জানন আধিকারিকরা। এই পলিগ্রাফ টেস্টের মাধ্যমেই শ্রদ্ধা খুনের ঘটনা সব তথ্য উঠে এসেছে। আফতাব যে তার লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুন করেছে সে বিষয়ে আরও কোনও সন্দেহই নেই। এই পুরো ঘটনায় তার মধ্যে কোনও অনুশোচনাই এখনও কাজ করছে না। তদন্তকারী আধিকারিক এবং মনোবিদদের একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গিয়েছে আফতাব। টেস্টের সময় তার হার্টবিট এবং ব্লাড প্রেশার মনিটর করা হয়।

সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ টেস্ট চলাকালীন শ্রদ্ধার প্রেমিক অভিযুক্ত আফতাবের বক্তব্য, ‘আমি আগেও পুলিশকে সমস্তটা জানিয়েছি। এখনও একই কথা বলছি। আমিই শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছি। আর এর জন্য আমার কোনও অনুশোচনা নেই।’ এখানেই শেষ নয়, কোনও ভয় ছাড়াই, আফতাব জানিয়েছে, কী ভাবে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে জঙ্গলে ফেলে আসে সে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর