বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court Of India) প্রশ্নের মুখে রাজ্যপালদের (Governor) ভূমিকা। বিধানসভায় কোনও বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পরও সেই বিল দিনের পর দিন ফেলে রাখছেন রাজ্যপালেরা। এককথায় ঝুলিয়ে রাখছেন। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে (State Government)। এক দুটি নয়, এরম বহু অভিযোগ উঠে এসেছে একাধিক মামলা থেকে। যা নিয়ে আগেও সর্বোচ্চ আদালতে ভৎর্সনার মুখে পডে়ছেন একাধিক রাজ্যপাল।
কেন্দ্রের জবাব তলব
সোমবার কেরল সরকারের করা এই রকমই একটি মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূডে়র বেঞ্চে (Chief Justice of India)। ক্ষমতাসীন সিপিএম সরকারের অভিযোগ, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান সাতটি বিল আটকে রেখেছেন। রাজভবন তরফে এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। এই মামলাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব চেয়ে পাঠালো প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
‘সুপ্রিম’ পর্যবেক্ষণ
গতকাল এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এটা এখন কোনও একজন নির্দিষ্ট রাজ্যপালের বিষয় নয়৷ বেশিরভাগ রাজ্যপালই তাদের মধ্যে বিল আটকে রাখার প্রবণতা তৈরি হয়েছে৷ তাই এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব তলব করেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: ‘বাড়ি থেকে বের করে…’, মন্ত্রী উদয়ন গুহর মন্তব্যে তোলপাড়, পাল্টা আচ্ছা করে দিল BJP
ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজ্য ও রাজ্যপালকে একত্রে কাজ করা উচিৎ। তাদের মধ্যে সমন্বয় থাকা খুবই প্রয়োজন। রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালদের আইনি বিবাদও কাম্য নয়। কোনও বিষয়ে মতের অমিল হলে তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়াই শ্রেয়।
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় এর আগে পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানার রাজ্যপালরা কোনও কারণ না দেখিয়ে বিল আটকে রাখায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন। আর এবার সেই একই চিত্র উঠে এল কেরল সরকারের করা মামলাতেও।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, অবিজেপি দল শাসিত দেশের প্রায় সব রাজ্যেই কেন্দ্র মারফত নিয়োজিত রাজ্যপালদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ চরমে উঠেছে। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও সেই নজির কম নেই।