বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে নিত্যযাত্রীদের কাছে যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল ট্রেন (India Railways)। সমাজের প্রায় সর্বস্তরের মানুষই যাতায়াত করেন রেলপথে। পাশাপাশি, বর্তমানের ব্যস্ততার দুনিয়ায় দ্রুত এবং অল্প খরচে গন্তব্যে পৌঁছতে ক্রমশ যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে ট্রেনের।এমতাবস্থায়, ট্রেন না চললে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের যে কি দুরবস্থা হয় তা লকডাউনে সকলেই প্রত্যক্ষ করেছেন।
তবে, রেলপথে যাতায়াতের অনেক সুবিধা থাকলেও একটি কারণে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ে রেল। ট্রেনের গতিপথে প্রায় সময়ই বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। আর তাতে প্রাণহানির সংখ্যাও নেহাত কম নয়।এই সব দুর্ঘটনার পর ট্রেন ঠিক সময়ে না থামার কারণে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষ। এমনকি, চালককেও পড়তে হয় ক্ষোভের মুখে। তবে, কি এমন কারণ যার জন্য ট্রেন চলতে চলতে হঠাৎ দাঁড়াতে পারেনা? চলুন জেনে নিই।
আমরা সকলেই জানি ট্রেনে একাধিক বগি থাকার কারণে চাকার সংখ্যাও সাধারণ যানবাহনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এতগুলো বগিকে সুসংবদ্ধ ভাবে রেল ট্র্যাকে চালানোর জন্য চালককে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয়। যেহেতু, ট্রেনের ব্রেক খুব ধীরে ধীরে কাজ করে, সেহেতু হঠাৎ করে তীব্র ব্রেক কষলে ট্রেনটির লাইনচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর সে ক্ষেত্রে একজনকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে পড়বেন ট্রেনে সওয়ার হওয়া হাজার হাজার মানুষ।
যেই কারণে ট্রেন কোনো স্টেশনে ঢুকে দাঁড়ানোর আগে তার গতি অনেক আগে থেকেই কমাতে থাকে। পাশাপাশি, হঠাৎ করে ট্রেনের চেন টানলেও লক্ষ্য করবেন ট্রেনটির দাঁড়াতে বেশ খানিকক্ষণ সময় লাগছে। এমনকি, খুব প্রয়োজনে চালক যখন ইমারজেন্সি ব্রেকও কষেন সেক্ষত্রেও ঠিক এই ঘটনাই ঘটে।
যদিও, রাতের অন্ধকারে দূরের জিনিস দেখার জন্য ট্রেনে একটি জোরালো আলোর ব্যবস্থা থাকলেও রাতের বেলা ট্রেন স্টেশনের কাছাকাছি আসার বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকে একটা হর্ন দিতে থাকে যাতে ট্রেনের আওয়াজ শুনে কোন ব্যক্তি লাইন থেকে সরে যান এবং বিপদ এড়ানো যায়। এরপরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে বা অসাবধানতাবশত কেউ ট্রেনের সামনে চলে এলে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা।