বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্লিন নোট নীতির (Clean Note Policy) অংশ হিসেবে শুক্রবার ২,০০০ টাকার নোট (Rs 2,000 Notes) প্রত্যাহার (Withdraw) করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India)। আরবিআই এর নতুন নির্দেশ অনুযায়ী এই ২০০০ টাকার নোটের সার্কুলেশনও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্রাহকদের তাদের কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোটগুলি ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নিতে বা জমা করতে হবে। তবে ২০০০ টাকার চালু নোটকে কোনও ভাবেই বাতিল করা হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের চিন্তার কোনও কারণ নেই।
দেশে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার পর বাজারে মুদ্রা নোটের ব্যাপক ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। আর সেই ঘাটতি মেটাতেই ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ২০০০ টাকার নোটটি চালু করেছিল RBI। তার ৬ বছর পর গতকাল ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে। তবে এটি আচমকা নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়, ২০১৮-১৯ সালেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছে RBI। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২০০০ টাকার নোট বাজারে চলবে না বলে ও জানিয়েছে RBI। মানে গিয়ে দাঁড়ালো কোনও ব্যক্তির কাছে দু’হাজার টাকার নোট থাকলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা ব্যাংকে জমা করতে হবে ।
কিন্তু কেন বড় অঙ্কের এই নোট প্রত্যাহার করা হচ্ছে? ঠিক কী কারণে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল RBI? জানুন বিস্তারিত… এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হল এই নোটের ব্যবহার হ্রাস পাওয়া। ক্রমাগতই কম হতে থেকেছে এই নোটের ব্যবহার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সাধারণত লেনদেনের জন্য এত বেশি মূল্যের ব্যাঙ্কনোট জনসাধারণ ব্যবহার করে না। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত, বাজারে প্রচলিত ব্যাঙ্ক নোট গুলির মধ্যে ২০০০ টাকার নোট মাত্র ১০.৮ শতাংশ রয়েছে।
অন্যদিকে, প্রথমেই জানিয়েছি RBI ‘ক্লিন নোট পলিসি’ গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে ভাল গুণমানের নোটের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। নোট বন্দির পর প্রচলিত ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নোটগুলির আনুমানিক আয়ু ৪ থেকে ৫ বছর। যার অর্থ ২০১৬ সালে ছাপা নোটগুলি এখন সম্ভাব্য আয়ুর শেষ পর্যায়ে রয়েছে। RBI এর ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী, সেগুলি আর ব্যবহারের উপযুক্ত নয় বলেও তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
RBI আরও জানিয়েছে, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার পর বাজারে মুদ্রা নোটের ব্যাপক ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। আর সেই ঘাটতি মেটাতেই ২০০০ টাকার নোটটি চালু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পালটেছে। ৫০০, ২০০, ১০০ টাকার নোটগুলি এখন উপযুক্ত পরিমাণে প্রচলিত রয়েছে। আর এই নোটগুলিই সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তাই যে উদ্দেশে একসময় ২০০০ এর নোট চালু হয়েছিল তা পূরণ হয়েছে বলেও এই নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।