বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসসি দুর্নীতিতে (SSC Scam) গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ায় যোগ্য অযোগ্য মিলিয়ে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। এর জেরে কার্যত বন্ধ হতে বসার জোগাড় বেশ কিছু স্কুলের পঠনপাঠন। এমন একাধিক স্কুল রয়েছে, যেখানে অধিকাংশ শিক্ষকেরই চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের (SSC Scam) জেরে। শিক্ষক শিক্ষিকার বড় সংকট দেখা গিয়েছে বিভিন্ন স্কুলে। বিশেষ করে বিজ্ঞানের বিষয়গুলির ক্ষেত্রে শিক্ষকের বড় আকাল দেখা দিয়েছে রাজর জুড়ে স্কুলগুলিতে।
শিক্ষকের অভাবে (SSC Scam) স্কুলের পড়াশোনা ব্যাহত
২০১৬ র গোটা প্যানেল বাতিলের পর রাজ্যের বিজ্ঞান শাখার পঠন পাঠনে লেগেছে বড় ধাক্কা। শিক্ষকের (SSC Scam) অভাবে পড়াশোনা চালু রাখা হবে কী করে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে বেশ কিছু স্কুল। এমতাবস্থায় সমস্যার সাময়িক সমাধান বাতলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আপাতত স্কুলগুলিতে ক্লাস্টার ভিত্তিক পঠনপাঠন শুরুর চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বলে খবর।
স্কুলগুলিকে পরামর্শ সংসদের: সূত্রের খবর বলছে, কাছাকাছি দু তিনটি স্কুলের পড়ুয়াদের একত্রিত করে ক্লাস্টার ভিত্তিক পড়াশোনা শুরু করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে সংসদ। সেক্ষেত্রে কোনো একটি স্কুলে শিক্ষক (SSC Scam) থাকলে আশপাশের আরো কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াদের একত্রিত করে ক্লাস করানো যেতে পারে। এমনকি রাজ্যের শিক্ষানীতি ২০২৩ এও এই ব্যবস্থার উল্লেখ রয়েছে।
আরো পড়ুন : দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে মিলল ডিভোর্স, শ্রাবন্তীর থেকে ‘মুক্তি’ পেয়েই নতুন সুখবর দিলেন রোশন!
নতুন পদ্ধতিতে ক্লাসের ভাবনা চিন্তা: বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে স্কুলগুলিতে পড়াশোনা বন্ধ না হয় তার জন্য সমাধান খুঁজতে উদ্যোগী হয়েছে সংসদ। সূত্রের খবর, স্কুলগুলিতে ক্লাস যাতে চালু থাকে তার জন্য প্রধান শিক্ষকদের (SSC Scam) পরামর্শ দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আপাতত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দিয়ে যাতে কিছুদিন ক্লাস করানো যায় সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দরকার মতো ভলান্টিয়ার শিক্ষকও নিয়োগ করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে কিছু স্কুলে অতিথি শিক্ষক দিয়েও ক্লাস করানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরো পড়ুন : আটকে যেতে পারে টাকা, ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই এই জরুরি কাজ সারার নির্দেশ কেন্দ্রের
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান শাখার ছাত্রছাত্রীদের হার যথেষ্ট কম। তার মধ্যে যদি বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে শিক্ষকের আকাল দেখা দেয় তাহলে ভবিষ্যতে বিজ্ঞান পড়ার হার আরো কমবে বলেও আশঙ্কায় রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।