বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফুল চুরির অপবাদ দিয়ে প্রৌঢ়াকে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ। আবারও অভিযোগের তীর সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) দিকে। ফুল চুরি করার অপবাদ দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁর কর্মস্থলে গিয়েও অপমান করা হয় তাঁকে। অপবাদের জেরে তিনি আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ। শনিবার এই ঘটনা ঘটে নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকায়। এই ঘটনাকে নিয়ে শোরগোল পড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

চুরির অপবাদ দিয়ে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ সিভিকের (Civic Volunteer) বিরুদ্ধে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা প্রৌঢ়ার নাম সরস্বতী দে। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার ভোরে মিলন করাতি নামে এক প্রতিবেশীর বাড়ির বাগান থেকে ফুল তুলছিলেন তিনি। শান্তিপুরের নৃসিংহপুর এলাকার বাসিন্দা মিলন পেশায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)। অভিযোগ, ফুল তোলার সময় সিভিকের বাড়ির লোকজন অকথ্য গালমন্দ করেন প্রৌঢ়াকে। এমনকি ফুল চুরির অপবাদ দিয়ে তাঁকে সর্বসমক্ষে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগও ওঠে।
অপমানে আত্মহত্যা বলে দাবি: জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার পর অঙ্গনওয়াড়িতে কাজেও যান ওই প্রৌঢ়া। কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) পরিবারের লোকেরা সেখানে গিয়েও তাঁকে আরেক প্রস্থ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। এরপরেই তিনি আত্মঘাতী হন বলে দাবি প্রৌঢ়ার পরিবারের। শনিবার সকালে বাড়ির পাশে গোয়ালঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরো পড়ুন : ক্লাস চলার সময় তুলে নিয়ে যেত, নীরব দর্শক অধ্যাপকরা! কলেজে মনোজিৎ-রাজ
দায়ের হয়েছে অভিযোগ: এরপরেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) সহ চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় শান্তিপুর থানায়। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, সামান্য ফুল তোলার জন্য যেভাবে চুরির অপবাদ দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে প্রৌঢ়াকে, তা তিনি সহ্য করতে পারেননি। সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন। পালটা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) পরিবার। এ বিষয়ে রানাঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান, মৃতার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মানসিক হেনস্থা সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরো পড়ুন : মোদী সাক্ষাতে ইচ্ছুক, দাবিদাওয়া নিয়ে শমীকের দরবারে ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা
সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন নয়। গত মে মাসেই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় চিপস চুরির অপবাদে এক স্কুল পড়ুয়াকে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ ওঠে। তারপরেই সুইসাইড নোট লিখে কীটনাশক খেয়ে ওই কিশোর আত্মঘাতী হয় বলে দাবি। সেই ঘটনার এক মাস পরেই আবারও একই ধরণের ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে নদিয়ায়।