সুন্দর যৌনাঙ্গ ও পুরুষের মন পেতে আঙুল কেটে ছোট করা হত পা! ছিল নারী নির্ণয়ের মাপকাঠি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : মেয়ে হতে হবে রুপে লক্ষী,গুণে সরস্বতী।মেয়ে লক্ষ্মীমন্ত হবে কিনা, বোঝা যাবে পায়ের পাতা দেখে তবেই। এভাবেই যাচাই করার চল ছিল প্রাচীন চিনে,তবে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে এখনও নারী নির্ণয়ের ‘মাপকাঠি’ হয় এভাবেই।এই রীতি চলে আসছে বহু শতাব্দী ধরে। ধনী ঘরে বিয়ে দিতে নির্মম ভাবে মেয়েদের পা ছোট করে রাখার এমনই কুপ্রথা চালু ছিল প্রাচীন চিনেও। 

20190803 212617

কথিত আছে, এক নর্তকীর সুন্দর, ছোট পা দেখে মোহিত হয়ে যান তৎকালীন রাজা।পা ছোট হলে মেয়েদের আরও আকর্ষণীয় লাগে বলে ধারণা জন্মায় সকলের মধ্যে।বাচ্চাদের হাড় যেহেতু নরম হয়, তাই তিন-চার বছর বয়সে মেয়েদের পা মুড়ে রাখার যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া শুরু করা হত।

20190803 212642

তবে ১৯১২ সালে আইন করে পা ছোট করার কুপ্রথা নিষিদ্ধ হয়।লুকিয়ে চুরিয়ে কেউ পা ছোট করছেন কিনা দেখতে সেই সময় সরকারের তরফে বেশ কিছু কর্মীও নিয়োগ করা হয়।এ প্রথার পাশাপাশি নারী নির্যাতনের আরো প্রথা বন্ধ হোক, দরকার সচেতনতার। একদিনে সমাজ বদলাবেনা,তবে বিন্দু বিন্দু পদক্ষেপেই সিন্ধু মুহূর্ত আসবে।

সম্পর্কিত খবর