বাংলা হান্ট ডেস্ক: লোকসভায় পেশ করা হল মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill)। নতুন সংসদ ভবনে প্রথম এই বিলটিই পেশ করা হল। মঙ্গলবার এই বিলটি পেশ করলেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল (Arjun Ram Meghwal)। এই বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দন’।
এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো ভগবান আমাকে নারীদের অধিকার দেওয়া এবং ক্ষমতা দেওয়ার মতো পবিত্র কাজের জন্য বেছে নিয়েছেন। আবারও আমাদের সরকার এই দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছে। গতকালই মন্ত্রিসভা (Cabinet) নারী সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দিয়েছে। নারী শক্তিকে নীতি প্রণয়নের সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। এর উদ্দেশ্য হল লোকসভা এবং বিধানসভায় নারীদের অংশগ্রহণ সম্প্রসারণ করা। এই বিল বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে প্রথমবারের জন্য এই সংক্রান্ত বিল আনা হয় অটলজির আমলে। মহিলা সংরক্ষণ বিল বেশ কয়েকবার পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন কোনও কারণে অপূর্ণ থেকে যায়।’
এদিকে এদিন মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস আমলে এই বিলটি আনা হয়েছিল। উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী।’ কিন্তু এরই প্রতিবাদ জানান শাসকদলের সাংসদেরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, অধীর রঞ্জন চৌধুরী অসত্য তথ্য দিচ্ছেন। যদিও এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস-সহ আরও বিরোধী দলগুলি। তবে এদিন অমিত শাহের মন্তব্যের পর লোকসভায় হই হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। যদিও এই বিল নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
অন্যদিকে, এই বিল তাঁদেরই আনা বলে দাবি করেছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মহিলা সংরক্ষণ বিলের খসড়া তৈরি করেছিল কংগ্রেস। এরপর এই বিল রাজ্যসভায় পাশ হলেও লোকসভায় পাশ হয়নি।
এই বিল অনুযায়ী, লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। এদিকে তপশিলি জাতি বা উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ আসনের মধ্যেও এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত থাকবে নারীদের জন্য।