‘জনতা বলছে মোদীর গ্যারান্টি’, মসাগ্রাম রেল প্রকল্প নিয়ে বড় বয়ান সৌমিত্রর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কাজ আর অল্পই বাকি, তারপরই পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার মানুষজন পেতে চলেছেন নয়া রেল লাইন। বাঁকুড়া-মসাগ্রাম রেললাইনকে বর্ধমানের কর্ডলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ প্রায় শেষের দিকে। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন। আর আজ বেলা বাড়তেই সরেজমিনে কাজ দেখে এলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান (Saumitra Khan)।

উল্লেখ্য, মসগ্রাম থেকে বর্ধমানের কর্ডলাইন সংযুক্ত হয়ে গেলে বাঁকুড়া থেকে হাওড়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। এতে করে আর খড়গপুর হয়ে ঘুরে ঘুরে হাওয়া যাওয়ার প্রয়োজন পড়বেনা। কম করে হলেও ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার কম হবে দূরত্ব। এখন বাঁকুড়া থেকে হাওড়ার দূরত্ব প্রায় ২৩১ কিলোমিটার। নতুন রেলপথে বাঁকুড়া থেকে হাওড়ার দূরত্ব কমে আসবে ১৮৫ কিলোমিটারে। স্বাভাবিকভাবেই খরচ থেকে শুরু করে সময়ও বাঁচবে আম জনতার।

এইদিন সকাল সকাল নিজের টিম নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে পৌঁছেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান। সোমবার সাতসকালে ট্রেনে চেপে মশাগ্রাম যাওয়ার পথে প্রচারও সেরে ফেললেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। অন্যান্য যাত্রীদের সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটও কাটলেন তিনি। হালকা মেজাজে কিনে খেলেন ঝালমুড়ি।

তিনি বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট কেটে বাঁকুড়া থেকে সোনামুখী বিধায়কের সঙ্গে সফর একটা আলাদা অনুভূতি।’ এইদিন মসাগ্রাম রেল লাইনের কাজ ঘুরে দেখার পর তিনি বলেন, ‘রেল লাইন জুড়ে গেছে। আমরা খুব আনন্দিত যে ৩০ মার্চ এই লাইন যোগ হবে। এবং রেলমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন যে ৩০ মার্চ লাইন জুড়ে যাবে। আমরা বাঁকুড়া, মসাগ্রাম, বর্ধমান, পাত্রসায়ের, ইন্দাস এলাকার মানুষজন খুব খুশি।’

 

বিজেপি সাংসদের সংযোজন, ‘আমরা ভাবতাম এটা হবেনা। বিরোধীরা একসময় বলেছিল, এটা বড় দুঃখের রেল। বাসুদেববাবু বলতেন, মরা রেলকে নিয়ে কী আর হবে? আজকে মোদীর বিকশিত ভারতে লোকসভায় বার বার আওয়াজ তুলেছি। আটটা চিঠি দিয়েছি, চারবার বৈঠক করেছি যে মসাগ্রাম রেল প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। আজ আমার তো আনন্দে বুক ভরে উঠছে।’


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর