বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি কুতুব মিনার নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন হরিশংকর জৈন। যেই মামলায় তাঁর মূল বক্তব্য ছিল, কুতুব মিনারে প্রায় ২৭ টিরও বেশি মন্দির ছিল। যেগুলির প্রায় একশোরও বেশি ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পাশাপাশি, হরিশংকরের দাবি ছিল যে, ASI-র বই থেকেই এই ধ্বংসাবশেষের প্রমাণ পেয়েছেন তিনি।
এমতাবস্থায়, কুতুব মিনার নিয়ে নিজেদের বক্তব্য সাফ জানিয়ে দিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)। মঙ্গলবার আদালতে একটি দলিল পেশ করে ASI-র তরফে জানানো হয়েছে যে, কুতুব মিনারের পরিচয় রাতারাতি বদলে দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। মূলত, ১৯১৪ সালে এই সৌধটি হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। পাশাপাশি, এখানে কখনই পুজোপাঠ করা হয়নি বলে জানিয়েছে তারা। তবে, মন্দির ভেঙেই যে কুতুব মিনার তৈরি করা হয়েছিল তা অবশ্য স্বীকার করেছে ASI।
যদিও, তারা এও জানিয়েছে যে, এখানে কোনোদিন পুজোপাঠ করা হয়নি। আর সেই কারণেই এবার নতুন করে আর এখানে পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। এমতাবস্থায়, কুতুব মিনারে পুজোর অনুমতি দেওয়া আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে আগামী ৯ জুন। পাশাপাশি, ASI-এর তরফে এদিন জানানো হয় যে, দিল্লির কুতুব মিনার ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করার পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বও বহন করে। এছাড়াও, এই সৌধে শুধুমাত্র পর্যটনের অনুমতি থাকলেও এখানে কোনো ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কিংবা পুজার্চনার অনুমতি নেই।
এদিকে, এই প্রসঙ্গটিতে বিতর্কের আবহেই ASI-র প্রাক্তন আঞ্চলিক অধিকর্তা ধরমবীর শর্মা একাধিক দাবি জানিয়েছিলেন। এমনকি, তিনি ইতিহাসের সূত্র ধরেই জানান যে, ”এই সৌধ আসলে কুতুব মিনার নয়, বরং এটি সূর্য টাওয়ার। মূলত, পঞ্চম শতকে রাজা বিক্রমাদিত্য এটি তৈরি করেছিলেন। এই নিয়ে আমার কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও রয়েছে।” পাশাপাশি, তিনি বলেন, “কুতুব মিনার আসলে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ স্থাপত্য। নিকটবর্তী মসজিদের সঙ্গে এর কোনোরকম সম্পর্ক নেই। আপনারা দেখবেন কুতুব মিনারের ফটকের মুখ উত্তর দিকে রয়েছে, রাতের আকাশে যাতে ধ্রুবতারা দেখা যায়।”
শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানিয়েছেন যে, “কুতুব মিনার ২৫ ইঞ্চি হেলানো রয়েছে। কারণ, এটি ২১ জুন সূর্যের অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য বানানো হয়েছে। আর এর ফলে সূর্যের আলোয় মিনারের কোনো ছায়া পড়ে না। বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই এমনটা তৈরি করা হয়েছে।”
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার