বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ একাধিকবার নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (India vs Australia) ভারতীয় দল (Team India) যখন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল (WTC Final) খেলতে নেমেছিল, তখন সেই দলের অংশ হিসেবে ছিলেন না ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। প্রাথমিকভাবে যে স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল সেখানে তিনি জায়গা পাননি। কেবলমাত্র এক উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরতকে নিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল নির্বাচকরা। পরে চোটের জন্য লোকেশ রাহুল ছিটকে গেলেও তাকে ফেরানো হয়নি।
যদিও গুজরাট টাইটান্স ও ত্রিপুরার হয়ে তিনি ব্যাট হাতে ভালোই ছন্দ প্রদর্শন করেছেন। তার ব্যাটিং বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। সমর্থকরা আওয়াজ তুলেছে তাকে নিয়ে। আর তার কিপিং নিয়ে শব্দখরচ একেবারেই নিষ্প্রয়োজন। এই মুহূর্তে শুধু ভারতীয় ক্রিকেটে নয়, বিশ্ব ক্রিকেটে তিনি শ্রেষ্ঠ কিপার।
যদিও এই সমস্ত বিষয় দল নির্বাচনের সময় বিবেচনা করে দেখা হয়নি। নিউজিল্যান্ডের ভারত সফর শেষ হওয়ার পরে রাহুল দ্রাবিড় তাকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ভারতীয় দলে তার আর জায়গা হবে না। তারা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চান। তাই ঋদ্ধির জায়গায় সুযোগ পাবেন তরুণ উইকেটরক্ষকরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে সুযোগ এলেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি তিনি।
এবার তাই তরুণ প্রজন্মের স্বার্থে একটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋদ্ধিমান যা সকলের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে। আসন্ন দলীপ ট্রফিতে পূর্বাঞ্চলের হয়ে আর মাঠে নামবেন না তিনি। ত্রিপুরার ক্রিকেট দলের সাথে তিনি যুক্ত হয়েছেন তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে। কিছু দলীপ ট্রফিতে পূর্বাঞ্চলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আর খেলে কি করবো? নতুন কেউ খেলুক যার সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।” তার এই মন্তব্য শুনে ক্রীড়াপ্রেমীদের তার ওপর শ্রদ্ধা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।