বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২০২২-এর শুরুর দিকে ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির গ্রূপ পর্ব খেলতে অস্বীকার করেন বঙ্গ তারকা উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। তারপর বাংলার প্রতি তার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল সিএবি যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস। ব্যাপারটা ভালোভাবে নেননি বঙ্গ উইকেটরক্ষক। তাই আইপিএল শেষে যখন তাকে বাংলার রঞ্জি ট্রফির নক-আউট পর্বের প্রাথমিক স্কোয়াডে সামিল করা হয় তখন তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে তার কাছে ক্ষমা না চাওয়া হলে তিনি বাংলার হয়ে আর নামবেন না। কিন্তু তার কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়নি।
এরপরেই বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বঙ্গ উইকেটরক্ষক। ২রা জুলাই সিএবি-তে গিয়ে তিনি অন্য রাজ্যের হয়ে মাঠে নামার ছাড়পত্র নিয়ে আসেন। সিএবি-র তরফে অভিষেক ডালমিয়া তাকে বার বার বাংলা না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করালেও ঋদ্ধি আর থাকতে চাননি। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা দলে খেলোয়াড় এবং মেন্টর হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গিয়েছেন তিনি।
এরইমধ্যে ২৫শে জুলাই রাজ্যসরকারের তরফে বাংলার ক্রীড়াক্ষেত্রে তার অবদানের জন্যু তার হাতে বঙ্গবিভূষণ সম্মান তুলে দেওয়া হয়। তারপরেই মমতা ব্যানার্জির অনুরোধে সুযোগ পেলে আবার বাংলায় ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই সম্মান তুলে দেন ঋদ্ধির হাতে। মঞ্চেই মমতা ব্যানার্জি ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাকে বাংলায় ফিরে আসার কথা বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানান। সেই শুনেই এখন বাংলায় ফেরার কথা বিবেচনা করছেন ঋদ্ধিমান।
জানা গেছে মমতা ব্যানার্জি ঋদ্ধিমানের কাছে জানতে চান তিনি বাংলার হয়ে সত্যি খেলবেন না! তাতে বঙ্গ উইকেটরক্ষক জানান যে, এই বছর তার ত্রিপুরার হয়ে খেলা নিশ্চিত। তখন মুখ্যমন্ত্রী তাকে বাংলাকে ভুলে না যাওয়ার অনুরোধ করেন। তারপরেই ঋদ্ধিমান জানিয়েছেন এই মরশুমে বাংলার হয়ে খেলতে নামলেও ভবিষ্যতে বাংলার ক্রিকেটের সাথে যুক্ত থাকতে আপত্তি নেই তার।