মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগীর নেওয়া ১০টি বড় সিদ্ধান্ত, যা সমালোচনার পাশাপাশি প্রশংসাও পেয়েছে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ  উত্তর প্রদেশ সহ ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর প্রদেশে দুই দফার ভোট হয়েও গিয়েছে। এবারের ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন বিরোধী এবং শাসক বিজেপির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশের নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর কুরসির চাবি বলেই উল্লেখিত হয়ে আসে উত্তর প্রদেশ। এখনও পর্যন্ত ভারতের প্রায় প্রতিটি প্রধানমন্ত্রীই উত্তর প্রদেশ থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুরসি দখল করেছেন।

সেই হিসেবে, এবার একদিকে যেমন বিজেপি চাইছে উত্তর প্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখা। তেমনই আরেকদিকে বিরোধী শিবির চাইছে যেই করেই হোক না কেন, উত্তর প্রদেশ থেকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা। আর সেই ক্রমেই বিজেপি বিরোধী ঝড় তুলতে এই মাসেই উত্তর প্রদেশে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি বিরোধী প্রচারে হাওয়া দিয়েছিলেন।

এখনও পর্যন্ত উত্তর প্রদেশ নিয়ে করা প্রতিটি সমীক্ষায় বিজেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ক্ষমতা দখল করবে বলে দেখানো হয়েছে। তবে, বিজেপির এই জয়ের পথ সুগম হবে না। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি এবার একার ক্ষমতায় লড়লেও তারা বিজেপির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, অখিলেশ যাদবের দল এবার বিজেপিকে কড়া টক্কর দিতে পারে।

এবার আসি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথায়। সতেরোর নির্বাচনে তিনি কোনও বিধানসভা আসনে না লড়লেও, এবার নির্বাচনে লড়াই করাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি গোরক্ষপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করার পর যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করার ঘোষণা করে। তখন থেকেই যোগী সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন।

yogi adityanath kb

এই পাঁচ বছরে যোগী আদিত্যনাথ এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার জন্য তিনি একদিকে যেমন প্রশংসা পেয়েছেন, তেমনই অন্যদিকে তীব্র সমালোচিতও হয়েছেন। আপনাদের আজ গত পাঁচ বছরে যোগী আদিত্যনাথের নেওয়া ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাতে চাই।

  • স্বাধীনতা দিবসে মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় সঙ্গীত এবং পতাকা উত্তোলন বাধ্য করা। পাশাপাশি প্রমাণ হিসেবে অনুষ্ঠানের ভিডিও করা।
  • গোহত্যা, লাভ জিহাদ ও গরু পাচারের বিরুদ্ধে আইন লাগু করা এবং নিষিদ্ধ করা।
  • অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড ঘোষণা করা
  •  মাফিয়াদের জমি বাজেয়াপ্ত করে গরিবদের জন্য আবাস বানানো।
  •  আন্দোলন বা বিক্ষোভ প্রদর্শনে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করা ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিপূরণ নেওয়া।
  • সরকারি দফতরে তামাক, পানমশালা, গুটখা নিষিদ্ধ করা।
  • বেআইনি কসাইখানা বন্ধ করা।
  • এলাহাবাদ সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গা এবং স্টেশন থেকে মুঘলদের নাম মুছে নতুন নামকরণ করা।
  • শ্লীলতাহানীতে অভিযুক্তদের নাম, ঠিকানা, বাবার নাম সহ ছবি দিয়ে রাস্তায় পোস্টার লাগানো।
  • UPSC পরীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ জারি করা।
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর