সংখ্যাগুরু ভোটে ভরসা করেই বৈতরণী পার, যোগীকে ক্ষমতায় এনেছে হিন্দুরাই! দাবি সমীক্ষায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ধর্মের নামেই উত্তরপ্রদেশে চুড়ান্ত সফল যোগী সরকার। এমনকি যোগী আদিত্যনাথের দ্বিতীয়বার গদি দখলের পিছনেও রয়েছে এক ধর্মের মানুষের আশীর্বাদ। এবার একটি সমীক্ষায় উঠে এল এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধর্মের নামে রাজনীতিকেই তুরুপের তাস করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। স্পষ্টতই তিনি জানিয়েছিলেন, ‘এবার লড়াই হবে ৮০% বনাম ২০% এর’। কার্যতই, সংখ্যালঘু ভোট যে তাঁর ‘চাই না’ একথাই একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই কি না হল কেল্লাফতে। এই মেরুকরণের রাজনীতি সম্পুর্ণ ভাবেই যে বিজেপির পক্ষে কাজ করছে তেমনটাই তথ্য উঠে আসছে সমীক্ষার ফলাফলে। যার জেরে আসন সংখ্যা কমলেও হিন্দু ভোটার বিপুল পরিমাণ বাড়ায় গদি ধরে রাখতে পেরেছেন যোগী।

সিএসডিএস লোকনীতি নামক এক সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এবার বিপুল পরিমাণ বেড়েছে যোগীরাজ্যের বিজেপির হিন্দু ভোট। যেখানে ২০১৭ সালে ৪৭% হিন্দু ভোট পেয়েছিল বিজেপি, সেখানে এবার ৫৪% হিন্দু ভোট এসেছে তাদের ঝুলিতে। একটা বড় অংশের দলিত ভোটও আদায় করতে সক্ষম হয়েছে সে রাজ্যের পদ্ম শিবির।

সেই সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে যে, প্রত্যাশা মাফিক মুসলিমদের প্রায় কোনও সমর্থনই পায়নি বিজেপি। মুসলিম ভোটের ৩ ভাগের ২ ভাগই গেছে সমাজবাদী পার্টির কাছে। ২০১৭ সালের তুলনায় যেটুকু বেড়েছে মুসলিম ভোট তার প্রায় পুরোটাই মহিলা ভোটারদের থেকে। তিন তালাক বিরোধী আইনের ফলেই মুসলিম মহিলারা বিজেপিতে আস্থা রেখেছেন বলেই মত পর্যবেক্ষকদের। আগের বিধানসভায় যেখানে মাত্র ৪৬% মুসলিম ভোট দিয়েছিল সমাজবাদী পার্টিকে, সেখানে এবার অখিলেশের পাশে সে রাজ্যের ৭৯% মুসলিম ভোট। সংখ্যালঘু ভোটের মাত্র ৩%ই পেয়েছে কংগ্রেস।

একুশের নির্বাচনে বাংলায় এই ধর্মীয় রাজনীতি করতে গিয়েই অনেকাংশে বিপাকে পড়েছিল বিজেপি। কিন্তু বাংলা এবং উত্তরপ্রদেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক সমীকরণ যে এক নয়, এই সমীক্ষাতে স্পষ্টতই স্পষ্ট হয়ে গেল সেটা।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর