বাংলা হান্ট ডেস্ক : একদিকে যখন হায়দ্রাবাদের গণধর্ষণের চর্চায় উত্তাল গোটা দেশ সেই মুহূর্তে উন্নাও নির্যাতিতার মৃত্যুর পর দোষীদের শাস্তির বিচার দ্রুত ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচার করার কথা জানান যোগী আদিত্যনাথ।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে ওই নির্যাতিতা পুলিশকে বয়ান দিয়ে বলেছেন, ধর্ষণ মামলার শুনানির জন্য রায়বেরেলি যাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ স্টেশনে পৌঁছান তিনি। পথেই তাকে ধাওয়া করে ৫ দুষ্কৃতী। যার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিভম ত্রিবেদী ও শুভম ত্রিবেদীও ছিল। তারা প্রথমে লাঠি দিয়ে সজোরে নির্যাতিতার পায়ে আঘাত করে তারপর তার গলায় ছুরিও চালায় দুষ্কৃতীরা। অতঃপর প্রকাশ্যে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
দাউদাউ করে জ্বলা শরীর নিয়ে সকলের কাছে ছোটাছুটি করে প্রাণভিক্ষা চান নির্যাতিতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। ততক্ষণে ওই নির্যাতিতার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
নির্যাতিতার মৃত্যুর খবর শুনে মর্মাহত যোগী আদিত্যনাথ। দোষীদের বিচার ফাস্ট ট্রাক আদালতে করা হবে বলেও জানান তিনি। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, বেঁচে থাকতে বারবার দ্রুত বিচার চেয়েও পাননি ওই তরুণী। গত ২০২৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে শিভম ও শুভম নামের দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ঘটনার চার মাস পরে আদালতের হস্তক্ষেপে নির্যাতিতার অভিযোগ নেন পুলিশ।অন্যদিকে, যোগী রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সরব বিরোধীরা।