খান তো সবাই, বলুন তো নারকেলের ভিতরে জল কোথা থেকে আসে! উত্তর মাথা ঘুরিয়ে দেবে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গ্রীষ্মকালের দুপুর মানেই সঙ্গী ডাবের জল (Coconut Water)। এই পানীয়র ফলে যেমন পেট থাকে ঠান্ডা তেমনই এর রয়েছে নানান গুণ। বহু ঘাতক অসুখ দূর করতে পারে ডাবের জল। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালে (Summer) যেমন অতিরিক্ত জল পান করা প্রয়োজন ঠিক তেমনি প্রয়োজন ডাবের জল পান করা।

ডাবের জলে থাকে কার্বোহাইড্রেট, সুগার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস। যা আমাদের শরীরে নানান সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এটি। তাই এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা মাঝেমধ্যেই পান করুন ডাবের জল।

বর্তমানে অনেকেই কিডনি স্টোনের সমস্যায় ভুগছেন। অনেক সময় দেখা যায় এই স্টোন বেড়ে শরীরে নানান সমস্যার সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে হলে ভরসা রাখুন ডাবের জলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পানীয় কিডনি স্টোন দূর করতে সাহায্য করে।

হার্ট সুস্থ রাখতে ভীষণ প্রয়োজন ডাবের জল। এটি সহজেই কমিয়ে দেয় শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল। ব্যায়াম করার পরেও ডাবের জল পান করা যেতে পারে। আসলে ব্যায়াম করার পর শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণে ইলেকট্রোলাইটস বেরিয়ে যায়। আর সেই ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে ডাবের জল।

Coconut Water

বর্তমানে তীব্র দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। দুপুর হলেই সকলেই ভরসা রাখছেন ডাবের জলে। পেট ঠান্ডা রাখতে কমবেশি প্রায় আমরা সকলেই পান করি ডাবের জল। তবে জানেন কি এই ফলের ভেতর জল আসে কোথা থেকে? সে কথাই জানাবো আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে।

ডাব এমন একটি ফল যার ভেতরে থাকে এত পরিমাণ জল। আসলে এই জল আসে গাছের এন্ডোস্পার্মের অংশ থেকে। ডাব গাছ নিজের মূলতন্ত্র দ্বারা জল সংগ্রহ করে। মূল থেকে সোজা গাছের প্রতিটি কোষের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে ফলের ভেতর চলে যায় সেই জল। এরপরই এন্ডোস্পার্ম জলে দ্রবীভূত হতে শুরু করে এবং ক্রমে ঘন হয়ে যায় ডাবের ভেতরের জল।

জানিয়ে রাখি, ডাবের এন্ডোস্পার্ম নিউক্লিয়ার ধরনের। এটি বর্ণহীন তরল পদার্থ। ডাবের জল ইলেকট্রোলাইটস এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং ডিহাইড্রেশন দূর করতে সাহায্য করে।

additiya

সম্পর্কিত খবর