বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় রেল (Indian Railways) এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক হিসেবে বিবেচিত হয়। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। এমন পরিস্থিতিতে এই গণপরিবহণ সাধারণ মানুষের লাইফলাইন হিসেবে পরিগণিত হয়। এদিকে, ভারতীয় রেল সারা দেশে দৈনিক হাজার হাজার ট্রেন পরিচালনা করে। প্রতিটি ট্রেনের আলাদা আলাদা নাম এবং নম্বর রয়েছে। পাশাপাশি, রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্তের মতো অনেক প্রিমিয়াম ট্রেনও দেশজুড়ে চলে।
এমতাবস্থায়, এই প্রশ্নটি কি কখনও আপনার মনে এসেছে যে, এই ট্রেনগুলির নাম কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে? বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি। মূলত, বেশিরভাগ ট্রেনের নামকরণ করা হয় তাদের বোর্ডিং এবং ডেস্টিনেশন স্টেশনের ভিত্তিতে। কিন্তু রাজধানী, শতাব্দী ও দুরন্তের নাম এলো কিভাবে? চলুন, জেনে নিই।
১. শতাব্দী এক্সপ্রেস: শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৯৮৯ সালে চালু হয়েছিল। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর ১০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই ট্রেনটির নামকরণ করা হয়েছিল। “শতাব্দী” মানে হল ১০০ বছর। এমন পরিস্থিতিতে, পণ্ডিত নেহেরুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের জন্য তৎকালীন সরকার এই ট্রেন চালু করেছিল। এই ট্রেনটি সাধারণত ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে চালানো হয়। ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।
২. রাজধানী এক্সপ্রেস: রাজধানী এক্সপ্রেসের নাম থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে যে, এটি দিল্লিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের রাজধানীর সাথে সংযুক্ত করে। এই ট্রেনটি দূরপাল্লার এবং এতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটিতেও ভালো মত নজর দেওয়া হয়। রাজধানী এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি হল প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার।
৩. দুরন্ত এক্সপ্রেস: “দুরন্ত” হল একটি বাংলা শব্দ। যার অর্থ বাধাহীন। দুরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের বিশেষত্ব হল এই ট্রেন কম স্টেশনে থামে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার।
সাধারণত ট্রেনের নাম কিভাবে নির্ধারণ করা হয়: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ট্রেনের নাম নির্বাচন করার জন্য একটি সাধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করে রেল। বেশিরভাগ ট্রেনের নামগুলি তার বোর্ডিং এবং ডেস্টিনেশন স্টেশনের নামের উপর ভিত্তি করে রাখা হয়। যেমন হাওড়া-মুম্বাই মেল, লখনউ-বরাউনি মেল, বেঙ্গালুরু-চেন্নাই মেল ইত্যাদি। এর মাধ্যমে যাত্রীরাও সহজেই জানতে পারেন যে কোন স্টেশন থেকে কোথায় ট্রেনটি সফর করবে।