বাংলা হান্ট ডেস্ক : রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) নামটার মধ্যেই রয়েছে এক অনন্য আভিজাত্য। বাইকপ্রেমী অথচ রয়্যাল এনফিল্ড পছন্দ করেনা এমন ভারতীয় (India) খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে পেট্রলের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় অনেকেই এখন মুষড়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় দেশের সমস্ত মানুষ যখন বৈদ্যুতিক গাড়ির (Electric Vehicle) পেছনে ছুটছে তখন রয়্যাল এনফিল্ড প্রেমীরাও অপেক্ষা করছে কবে গাড়ির EV ভার্সন আসবে। এই জল্পনার মধ্যেই সামনে এসেছে নতুন আপডেট।
সম্প্রতি সংস্থাটি জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই বুলেটপ্রেমীদের কাছে আসবে বৈদ্যুতিক বুলেট। বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক বুলেটিয়ার কাস্টমস দ্বারা তৈরি এই বাইকের নাম রাখা হয়েছে ‘গ্যাসোলিন’। কারণ সংস্থাটি এবার রয়্যাল এনফিল্ডের খ্যাতনামা বাইক 1984 মডেলের বুলেটটির একটি বৈদ্যুতিক ভার্সন তৈরি করেছে। জানা যাচ্ছে, নতুন মডেলে একাধিক পরিবর্তন এনেছে সংস্থাটি।
সূত্রের খবর, সংস্থাটি তাদের নতুন বাইকে একটি ববার লুক দিতে চায়। যার কারণে চেসিসটিকে 3 ইঞ্চি লম্বা করা হয়েছে, এর পাশাপাশি এতে একটি নতুন ডিজাইনের ফুয়েল ট্যাঙ্ক দেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনের অংশ সরিয়ে সেখানে ব্যাটারি বসানো হয়েছে। একটি বিশেষভাবে তৈরি কভার দিয়ে ঢাকা হয়েছে ব্যাটারিটিকে। সম্প্রতি ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা রিকার্ডো পেরেইরা নতুন বুলেটের সমস্ত বিবরণ শেয়ার করেছেন।
ড্রাইভিং পরিসীমা এবং কর্মক্ষমতা : নতুন এই বুলেটটিতে দেয়া হয়েছে মুম্বাই ভিত্তিক Gogo A1 ফার্ম থেকে আনা 5 kW ক্ষমতার BLDC হাব মোটর। এছাড়াও, বেঙ্গালুরু ভিত্তিক মাইক্রোটেক থেকে প্রাপ্ত একটি 72 V 80 Ah ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করা হয়েছে। এই বাইকটি নিয়মিত মোডে 90 কিলোমিটার এবং ইকোনমি মোডে 100 কিলোমিটারের বেশি ড্রাইভিং রেঞ্জ দেয়। একবার ফুল চার্জ হতে সময় লাগে প্রায় 7 ঘন্টা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় 110 কিমি।
বাইকটি রিভার্স মোডেও চলবে : নতুন এই বুলেটে তিনটি ভিন্ন ড্রাইভিং মোড দেওয়া হবে বলে খবর, যার মধ্যে রিভার্স মোডও রয়েছে। অর্থাৎ আপনি বাইকটি রিভার্স মোডেও চালাতে পারবেন। এতে গিয়ার লিভারের পরিবর্তে মোড সুইচ গিয়ার দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে ভিন্ন ভিন্ন মোড বেছে নিতে পারবেন আপনি। এতে যেহেতু চেইন থাকছেনা তাই পেছনের চাকায় ইলেকট্রিক হাব মোটর বসানো হয়েছে যা সরাসরি পেছনের চাকায় পাওয়ার সাপ্লাই করে।
বাইকটির এমন অদ্ভুত নামকরণ সম্পর্কে রিকিয়ার্ডো বলেছেন যে, ‘আমি পেট্রোল বাইকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলাম। তাই আমরা এই বাইকের জন্য ‘গ্যাসোলিন’ নামটি বেছে নিয়েছি। এটি কিছুটা অদ্ভুত শোনালেও একটি বৈদ্যুতিক বাইকের জন্য গ্যাসোলিন নামটি ব্যবহার করা এটিকেও আকর্ষণীয় করে তোলে।’ জানিয়ে রাখি, বাইকটি তৈরি করতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।