বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান সামনে এল। যে পরিসংখ্যানে ভারতকে রীতিমতো টেক্কা দিয়েছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো দেশগুলিও। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকের (Press Freedom Index) তালিকায় ১১ ধাপ পিছিয়ে গিয়েছে ভারত। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, “রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্স”-এর সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে সাংবাদিকতার সামগ্রিক পরিস্থিতি বর্তমানে “খুব বাজে” পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, মোট ১৮০ টি দেশের নিরিখে করা এই পরিসংখ্যানের তালিকায় ভারত বর্তমানে ১৬১ তম স্থানে রয়েছে। এদিকে, ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে যে, ভারত ছাড়াও বর্তমানে তুরস্ক এবং তাজিকিস্তানেও সাংবাদিকতার পরিস্থিতি “খুব বাজে” জায়গায় রয়েছে। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকের পরিসংখ্যানে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে কোন দেশ? জানিয়ে রাখি যে, এই তালিকায় সবথেকে এগিয়ে রয়েছে নরওয়ে। একটানা সপ্তমবারের জন্য এই তালিকার শীর্ষস্থান বজায় রেখেছে ওই দেশটি।
পাশাপাশি, তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আয়ারল্যান্ড উঠে এসেছে। এদিকে, ডেনমার্ক এক স্থান পিছিয়ে গিয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য যে, তালিকায় ১৫০ তম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। অপরদিকে, ১৫২ তম স্থানে রয়েছে তালিবান শাসিত আফগানিস্তান। অর্থাৎ, এই দেশগুলি টেক্কা দিয়েছে ভারতকে। আর এই পরিসংখ্যানই অবাক করে দিয়েছে সবাইকে।
মূলত, ওই তালিকা অনুযায়ী মোট ৫২টি দেশে সাংবাদিকতার জন্য পরিস্থিতি “ভালো” বা “সন্তোষজনক” পর্যায়ে রয়েছে। অপরদিকে, মোট ৩১ টি দেশে সাংবাদিকতার জন্য পরিস্থিতি “অত্যন্ত গুরুতর” এবং ৪২ টি দেশে পরিস্থিতি “কঠিন” ও ৫৫ টি দেশে পরিস্থিতি “সমস্যাজনক” অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই তালিকায় সবথেকে নিচের তিনটি স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম, চিন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলি।
কেন পিছিয়ে গেল ভারত: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত মার্চ মাসেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সংসদে এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে জানিয়েছিলেন যে, “ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইন্ডেক্স”-এর সঙ্গে সহমত পোষণ করে না ভারত সরকার। পাশাপাশি, এই সমীক্ষার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় সরকারের তরফে। তবে, ভারত সম্পর্কে সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শিল্পপতিরা মিডিয়া সংস্থা কিনে নেওয়ার মতো ঘটনায় প্রভাবিত তথা নষ্ট হয়েছে বহুত্ববাদ। উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠী NDTV কিনে নেওয়ায় নাম না করে সেই অধিগ্রহণকেই ইঙ্গিত করে এই পরিসংখ্যানে ভারতের পতনের পক্ষে রিপোর্টে যুক্তি দেওয়া হয়েছে।