বাংলা হান্ট ডেস্ক : বর্ষাকাল মানেই আমাদের বাংলার মানুষের চিন্তা থাকে রাস্তা ঘাটের অবস্থা কেমন থাকবে! যানবাহনের গতি কমে গেলেও রাস্তার কারণে দূর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়তেই থাকে। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতেই রাস্তায় নামলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এইদিন রাস্তা পরিদর্শনের সময় ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার (Kalkata Municipality) অন্যান্য পদাধিকারীরা।
এইদিন কলকাতা পুরসভা থেকে মেয়রের গাড়ি বেরনোর পর কার্যত গোটা কলকাতাকেই চষে ফেলা হয়। কালীপুজোর আগে রাস্তায় কেমন কাজ হয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখে নেন ফিরহাদ হাকিম। আর তারপরেই খবর, ইকবালপুর সংলগ্ন ডায়মন্ড হারবার রোডের একাংশকে ওয়াটারপ্রুফ (Waterproof Road) করে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বিটুমিন, স্টোন চিপস আর বালির সঙ্গে মেশানো হচ্ছে প্লাস্টিকের গ্রেনিউলস।
এইদিন রাস্তা পরিদর্শনের সময় এই প্রতিটা উপাদানকে খতিয়ে দেখেন ফিরহাদ হাকিম। এই উপাদান দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হলে তার উপরে বড় বড় পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করলেও কোনও অসুবিধা নেই। আসলে এর আগেও ডায়মন্ড হারবার রোডের একাংশ এই উপাদান দিয়েই তৈরি হয়েছে। আর সেই কারণেই তিলোত্তমা নগরীর নানান রাস্তা এই উপাদান দিয়েই তৈরি করার কথা ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে খবর।
আরও পড়ুন : সুশান্তের পর এবার দাম্পত্যেও ভাঙন অঙ্কিতার! শেষের পথে ২ বছরের বিয়ে, কেঁদে ভাসাচ্ছেন নায়িকা
এইদিন মেয়র এই প্রসঙ্গে বলেন, “ওই মেশিনপত্র এখনও কলকাতা পুরসভার হাতে আসেনি। তাই যতক্ষণ না ওই মেশিন কলকাতায় এসে কাজ শুরু করছে, ততক্ষণ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা যাবে না।” উল্লেখ্য, ফি বছর জলে যাচ্ছে গ্যালন গ্যালন টাকা। তবে বর্ষা এলেই সবটা মাটি। যে কারণে বর্ষা শেষ হলেই আবারও রাস্তা ঠিক করতে হয় পুরসভাকে। যে কারণে এবার স্থায়ী সমাধানের কথা ভাবছে কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন : ‘বন্দে সাধারণ এক্সপ্রেস’ নিয়ে বড় খবর! দেশের এই পাঁচটি রুটে ছুটবে নয়া ট্রেন, বাংলা পাচ্ছে একটি
এইদিন মেয়র বলেন, ”রাস্তা তৈরির মূল উপকরণ পিচ আর পাথরের টুকরো। এমনি সময় এই দুইয়ের জোট মজবুতই হয়। কিন্ত এর সবচেয়ে বড় শত্রু জল। জলের সংস্পর্শে এলে পিচ আর পাথরের টুকরো আলাদা হয়ে যায়। আমাদের এখানে বৃষ্টি হয়েই থাকে। সঙ্গে রয়েছে এখানকার মাটি। এই জমি উর্বর, তাই রাস্তার জন্য সেটাও একটা বিষয়। সব মিলিয়ে রাস্তা খারাপ হয়েই থাকে। আমরা এর একটা সমাধান চাই। রাস্তা বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা একটা পদক্ষেপ করেছে প্লাস্টিকের সাহায্যে। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হয়েছে। রেজাল্ট ভাল। আগামী দিনে তা আরও বড় আকারে করা যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।”