বাংলা হান্ট ডেস্ক: একদম ছোটবেলা থেকেই আমরা জেনে এসেছি যে আমকে (Mangoes) বলা হয় “ফলের রাজা”। অর্থাৎ, ফলের দুনিয়ায় আমের স্থান রয়েছে একদম উঁচুতেই। এদিকে, গ্রীষ্মের মরশুম আসা মানেই আমের জন্য “আমজনতার” অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়। দশেরী, ল্যাংড়া, হিমসাগর, আলফানসো, চৌষার মতো নানাবিধ আমের ভিড়ে রীতিমতো ভরে ওঠে বাজারগুলি।
শুধু তাই নয়, এইসব আমগুলি আবার বিপুল পরিমাণে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। তবে, বর্তমান প্ৰতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি আমের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেটি সম্পর্কে জানার পর রীতিমতো চোখ কপালে উঠবে সবার। মূলত, ওই আমটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম হিসেবে বিবেচিত হয়। পাশাপাশি, তার স্বাদও অতুলনীয়।
এমতাবস্থায়, খুব সহজেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে ওই আমটির তাহলে নামটি কি? জানিয়ে রাখি যে, এই আমের নাম হল “মিয়াজাকি”। শুধু তাই নয়, এই আমের দাম হতে পারে ১৯ হাজার টাকা পর্যন্ত। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে মিয়াজাকি আম উৎপাদন হয় জাপানে। তবে, এই উৎপাদনের বিষয়টি আদৌ সহজ ছিল না। কারণ, গ্রীষ্মকালীন এই আমের চাষ শীতপ্রধান জাপানে চাষ করাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
তবে, প্রাকৃতিক উপায়ে “গ্রিনহাউজ” তৈরির মাধ্যমে এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত আমচাষি নাকাগাওয়া। শুধু তাই নয়, ২০১১ সাল থেকে জাপানের উত্তরভাগের তুষারাবৃত তোকাচি অঞ্চলে গ্রিনহাউজের ভেতরেই অবলীলায় আম উৎপাদন করছেন তিনি। ওই গ্রিনহাউজের বাইরে তাপমাত্রা মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম থাকলেও, ভেতরের তাপমাত্রা থাকে গড়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই প্রসঙ্গে নাকাগাওয়া জানিয়েছেন, তাঁর মিয়াজাকি আমের স্বাদ অন্য যেকোনো আমের তুলনায় বহুগুণ ভালো। এদিকে, জাপানিরা এবার মিয়াজাকি আমকে ভালোবেসে “সূর্য কিরণের ডিম” নামে অভিহিত করেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নাকাগাওয়ার আমবাগানে থাকা একটি মিয়াজাকি আমের দাম ২৩০ ডলার। ভারতীয় মূদ্রায় যে অঙ্কটা প্রায় ১৯ হাজার টাকা। বর্তমানে বছরে প্রায় ৫ হাজার আম উৎপাদিত হয় তাঁর গ্রিনহাউজে। এদিকে, শীতকালে নাকাগাওয়া এই আমের চাষ করায় চাহিদাও থাকে প্রচুর। আর এইভাবেই “সোনার ফসল” ফলিয়ে চলেছেন তিনি।