ময়ূরী নয়, আবারও বিয়ের পিঁড়িতে মেঘ! ‘ইচ্ছে পুতুল’এ আসছে ধামাকাদার টুইস্ট

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম চর্চিত একটি ধারাবাহিক হল জি বাংলার ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Ichhe Putul)। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই এই ধারাবাহিকটির চর্চা চলতে থাকে। মেঘ (Megh), নীল (Neel) আর ময়ূরীর (Mayuri) ত্রিকোন প্রেমের গল্প বেশ ভালোই পছন্দ করেছে বাংলার দর্শক। তারমধ্যে এখন গিনি-রূপের ট্র্যাকও বেশ উপভোগ করছে সবাই‌। এখন আগামী সময়ে ধারাবাহিক কোন পথে আগায় সেটারই অপেক্ষা করছে সকলে।

ভক্তরা অনেকদিন ধরেই দাবি করছিল, নীলকে সরিয়ে জিষ্ণুকে ফ্রন্ট লাইনে আনা হোক। নীলের বোকামি দেখে তাকে নায়ক হিসেবে মানতেই পারছেনা দর্শকদের একাংশ। নীল ময়ূরীর বিয়ের পাশাপাশি মেঘও যেন জিষ্ণুর হাত ধরে এই দাবিটাই করেছিল সকলে। আর এবার বোধহয় দর্শকদের সেই ইচ্ছা পূরণ হওয়ার পালা। সদ্যই প্রকাশ্যে এসেছে বধূবেশে মেঘ (Megh) অভিনেত্রী তিতিক্ষা দাসের (Titiksha Das) একটি ভিডিও।

সাম্প্রতিক এপিসোডে আপনারা দেখেছেন, মেঘ জিষ্ণুর কাছে আবদার করেছে সে যেন সারা জীবন মেঘের পাশে থাকে। এদিকে জিষ্ণুও কথা দিয়েছে সে সবসময় মেঘের পাশে থাকবে। অন্যদিকে মেঘ আর নীলের দূরত্ব এখন কয়েক যোজন। মানসিকভাবে নীল এখনও মেঘকে ভালোবাসলেও তার অজ্ঞতা তাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় মেঘ কি সত্যিই জিষ্ণুকেই বিয়ে করবে? কার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছে সে?

আরও পড়ুন : মুম্বাই থেকে ফিরেই এই বিশেষ ব্যক্তির সাথে দেখা করলেন শুভশ্রী, রাজ নয়, তবে কে?

প্রথমেই বলি, সম্প্রতি তিতিক্ষার যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তা বেশ পছন্দ হয়েছে সকলের। নতুন বেনারসীতে তিতিক্ষা যেন স্বর্গের কোনও অপ্সরা। তবে মেঘ-জিষ্ণুর অনুরাগীদের জন্য দুঃখের বিষয় এই যে, অভিনেত্রীর এই লুকের সঙ্গে ধারাবাহিকের ট্র্যাকের কোনও যোগ নেই। অনেকেই ভেবেছিলেন যে তিতিক্ষার এই লুক হয়ত তার ধারাবাহিকের জন্যই। তবে এমনটা নয়। তার এই লুক মূলত একটি ব্রাইডাল ফটোশ্যুটের।

 

আসলে সিরিয়ালের পাশাপাশি মাঝেমাঝে মডেলিং-ও করে থাকেন তিতিক্ষা। নানারকম সাজে ফটোশ্যুট করতে দেখা যায় তাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভালোই অ্যাকটিভ থাকেন অভিনেত্রী। কখনও ছবি কখনও আবার রিল ভিডিও শেয়ার করে নেন ভক্তদের সাথে। এটিও সেরকমই একটি ফটোশ্যুটের। তবে সিরিয়ালের লুক না হলেও, তিতিক্ষার এই অবতার কিন্তু সত্যিই মারাত্মক। ভক্তরাও দারুণ প্রশংসা করেছেন।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর