বাংলা হান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এবং বনগাঁয় ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের উপর হামলার পর থেকেই অস্থির হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। হাতে অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও কেন কোনও পদক্ষেপ নিল না কেন্দ্রীয় বাহিনী? সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। দুর্নীতিবাজদের অনেকেই মনে করছিল, এই ঘটনার পর রাজ্যে ইডির দাপট হয়ত অনেকটাই কমে যাবে। তবে দুস্কৃতিদের সেই আশায় বালি চাপা দিয়ে তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল নবীন (Rahul Naveen) জানিয়ে দিলেন, এবার থেকে লাগু হবে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি।
সন্দেশখালি এবং বনগাঁর ঘটনার জের কতদূর যাবে তা নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত ঠিক তখনই রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল নবীন। বেশ স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়ে দিলেন, যে এবার থেকে এই ধরণের হামালার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলতে হবে। সেই সাথে ইডি আধিকারিকদের মনোবল বাড়াতে তাদের সাথে কথাও বললেন তিনি।
সূত্রের খবর, গত সোমবারই কলকাতায় এসেছেন রাহুল নবীন। এরপর মঙ্গলবার সকালে তিনি পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে দু’দফায় বৈঠক শেষ করে তিনি যান হাসপাতালে। জখম অফিসারদের সাথে কথা সেরে তিনি গেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সাথে দেখা করতে। রাজ্যপাল নিজে যে তৎপরতা দেখিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন : আক্রান্ত ED কর্তাদের বিরুদ্ধেই FIR! এবার কলকাতা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা
সেই সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, এইদিন সিজিও কমপ্লেক্সে বসে ইডি কর্তাদের সমস্ত কথা তিনি শোনেন। বাংলায় তারা ঠিক কী কী অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং রেশন দুর্নীতির জাল ঠিক কোথায় কোথায় বিস্তার করেছে সেই সব তথ্য তিনি খতিয়ে দেখেছেন এইদিন।
আরও পড়ুন : ‘সন্দেশখালির মত জনবিস্ফোরণ গোটা বাংলায় হবে’, ইডি পেটানোর ঘটনায় বিষ্ফোরক শোভনদেব
মামলায় অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থেকে শুরু করে প্রত্যেকের ফাইল ঘেঁটে দেখেন তিনি। তখনই ইডি কর্তারা জানায়, এই দুর্নীতির তদন্তে ভবিষ্যতেও তারা হামলার মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা। জবাবে রাহুল নবীন সাফ জানিয়ে দেন, হামলার মুখে পড়লে ‘জিরো টালারেন্স’ নীতি নিতে হবে। একইসাথে নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনীর সাথেও দেখা করেছেন তিনি।