অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে ‘মিটু’র অভিযোগ রূপাঞ্জনার, অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়ালেন পরিচালকের প্রথম স্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে ওঠা ‘মিটু’ অভিযোগে এবার অভিনেত্রী রূপাঞ্জনার পাশে দাঁড়ালেন পরিচালকের প্রথম স্ত্রী তনুরুচি শীল। সকলে যাতে অরিন্দমের আসল রূপটা দেখতে পায় সেইজন্যই তিনি রূপাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান।

কিছুদিন আগেই রূপাঞ্জনা জানান, টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘ভূমিকন্যা’র স্ক্রিপ্ট পড়ার সময় তাঁর গায়ে অশালীন ভাবে স্পর্শ করেন অরিন্দম। রূপাঞ্জনার কথায়, “উনি আমাকে ফাঁকা অফিসে ডেকে পাঠান। তারপরেই ওই আচরণ করেন। সেই সময় হঠাৎ তাঁর স্ত্রী শুক্লা এসে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর ভোল পালটে যায়।” তিনি আরও জানান, সেই সময়ে তিনি চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। তিনি মুখ খুললে ভূমিকন্যা বন্ধ হয়ে যেত। তাছাড়া একজন মেয়েকে এইসব বিষয়ে মুখ খোলার আগে অনেক ভাবনা চিন্তা করতে হয় বলেও মন্তব্য করেন রূপাঞ্জনা।

rupanjana arindam

এবার এই প্রসঙ্গে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন অরিন্দমের প্রথম স্ত্রী তনুরুচি শীল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি জানান, “আমি অরিন্দমের স্ত্রী। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে তঞ্চকতা করেছেন। উনি থাকেন শুক্লা দাসের সঙ্গে।” তিনি আরও জানান, ১৯৯২ সালে পরিচালকের সঙ্গে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় তাঁর। তার পরের বছরে রেজিস্ট্রি। কিন্তু ২০০৩ সালে বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন অরিন্দম। গত বছর সেই মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে।

এমনকি অরিন্দম তাঁকে সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ করেন তনুরুচি। তাঁর কথায়, “বেলেঘাটায় আমাদের যৌথভাবে কেনা ফ্ল্যাট ছিল। সেটা ও অধিকার করে রেখেছে।” এই প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, “কোর্টের বয়ান অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটে আমাদের দুজনেকরই মালিকানা রয়েছে। আমি কিনে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ও কোর্টের দিন ফেল করে। আমার কাছে কোর্টের কাগজও রয়েছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত বিষয় তুলে ধরার জন্য তনুরুচির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার কথাও ভাবছেন তিনি। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা মিটুর অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছিলেন অরিন্দম। তিনি বলেন, “ওইদিন অফিসে অন্যান্য স্টাফেরাও ছিলেন। শুক্লা আসার পর তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করে রূপাঞ্জনা। অস্বস্তি থাকলে কি সেটা পারত?  আর আমি যদি এতই খারাপ হই তাহলে কাজ করতে চেয়ে আমাকে ম্যাসেজ করবে কেন?  মিথ্যা বলার একটা সীমা আছে।”


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর