এই কাজ না করলেই ব্লক করা হচ্ছে কার্ড! এক লাফে ১.৩ কোটি রেশন গ্রাহক কমল রাজ্যে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত এক বছরে রাজ্যে লাফিয়ে কমল রেশন গ্রাহকের সংখ্যা (Ration Card Holder)। এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই খাদ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, প্রায় ১.৩ কোটি রেশন গ্রাহকের সংখ্যা কমে গিয়েছে এক বছরে। পাশাপাশি, পরিসংখ্যান সামনে এনে বলা হয়েছে, রাজ্যে মোট রেশন গ্রাহকের সংখ্যা গত বছরের জুলাই মাসে ছিল ১০ কোটি ৪৫ লক্ষ। এমতাবস্থায়, গত ১৩ আগস্ট অর্থাৎ শনিবারের পর্যন্ত তা কমে হয়েছে প্রায় ৯.১৫ কোটি। অর্থাৎ, বিপুল অঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা কমে গিয়েছে।

এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু কারণও উঠে এসেছে। মূলত, খাদ্য দফতরের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, রেশন বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিয়ে আসার জন্য একাধিক কড়া পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। এছাড়াও, খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যে রেশনকার্ডগুলি অব্যবহৃত থাকার পাশাপাশি যেগুলির আধার কার্ডের নম্বর যাচাই করা হয়নি, সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, রেশন কার্ডধারীদের মধ্যে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের চিহ্নিত করতেও বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। এমতাবস্থায়, মৃত্যুর পরেও যে সকল উপভোক্তার রেশন কার্ড সক্রিয় ছিল, সেগুলিকে পরবর্তীকালে চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছে। এদিকে, বাকি উপভোক্তাদের মধ্যে অনেকেই রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের নম্বর সংযুক্তিকরণ করছেন না বলেও জানা গিয়েছে।

সর্বোপরি, রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের নম্বর সংযুক্তিকরণ না থাকলে কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও পুনরায় আধার নম্বর যাচাইয়ের পরে সেই রেশন কার্ড চালু করার সুযোগ রয়েছে। যদিও, উপভোক্তারা সেই সুবিধা নিচ্ছেন না। আর তার ফলে নিষ্ক্রিয় অবস্থাতেই থেকে যাচ্ছে ওই সকল কার্ড। উল্লেখ্য যে, এই ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্ষম বা বয়স্ক উপভোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে।

IMG 20210624 155520 1

এদিকে, রেশন ডিলাররা জানিয়েছেন যে, বৈধ রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও অনেক গ্রাহক আধার নম্বর যাচাই করতে পারছেন না। এমতাবস্থায়, তাঁদের রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৈধ কার্ড থাকা সত্বেও অনেকেই রেশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর