বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের উপত্যকায় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বারামুল্লায় (Baramulla)জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চলে গুলির লড়াই। শেষ খবর অনুযায়ী, দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একে৪৭ রাইফেল সহ বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিস। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান (Search Operation)।
পুলিস সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় বেশ কিছু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, এই খবর পেয়েই এ দিন ভোরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিস ও নিরাপত্তা বাহিনী। বারামুল্লার ক্রিরি এলাকার ওয়ানিগাম গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। জবাবে পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ ধরে দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে।
যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়, এনকাউন্টার অভিযানে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে একে ৪৭ রাইফেল ও একাধিক পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা না গেলেও, তারা লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে সূত্রের খবর।
গত ২৪ ঘণ্টায় এটি ছিল দ্বিতীয় এনকাউন্টার অভিযান। এর আগে বুধবার কুপওয়াড়ায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রোখে পুলিস ও সেনা বাহিনী। সেনার গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। উপত্যকায় হঠাৎ করে জঙ্গি গতিবিধি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, দিন কয়েক বাদেই জম্মু-কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক হতে চলেছে। ওই অনুষ্ঠান ঘিরে অশান্তি সৃষ্টি করতেই জঙ্গিরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়েই বুধবারও কুপওয়াড়ার পিচনাদ মাচিল সেক্টরে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিস ও সেনার যৌথ বাহিনী। কুপওয়াড়ার সিনিয়র পুলিস সুপারিন্টেন্ডেন্ট জানান, নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে মাচিল সেক্টর দিয়ে জঙ্গিরা প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে, এই খবর আগে থেকেই ছিল। সোমবার থেকেই সেই কারণে জারি করা হয় কড়া সতর্কতা। বুধবার কয়েকজন জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতেই গুলি চালায় সেনা বাহিনী। সেনার গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়।