বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভোটের মুখে বড় সঙ্কটে ‘ইন্ডিয়া’ জোট (INDIA Alliance) কংগ্রেসের পর এবার ভাঙন আম আদমি পার্টির অন্দরমহলে। একই সাথে সুপ্রিম শুনানির আগেই পদত্যাগ করলেন চণ্ডীগড়ের (Chandigarh) মেয়র। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই মেয়র নির্বাচন বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে গণতন্ত্রের অপব্যবহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিল আপ ও কংগ্রেস। প্রাথমিকভাবে বিজেপির চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়েই ছিল আপ-কংগ্রেস জোট। যেখানে বিজেপির প্রার্থী মনোজ সোনকের ঝুলিতে এসেছিল ১৬টি ভোট সেখানে আপ প্রার্থী কুলদীপ সিং-র দখলে ছিল ২০টি ভোট।
প্রাথমিকভাবে আপ-কংগ্রেস জোট এগিয়ে থাকলেও প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মসিহ খেলা ঘুরিয়ে দেন। ভোট গণণার দিন অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। পরদিন গণণার সময় আপ কংগ্রেস জোটের ৮টই ভোট বাতিল করে দেন তিনি। ফলে কুলদীপ সিং-র থেকে অনেকটাই এগিয়ে যায় মনোজ সোনক।
আরও পড়ুন : আদিবাসীদের উপর অকথ্য অত্যাচার, ৫৩ জনকে গুলি করে হত্যা! হিংসার আগুনে জ্বলছে দেশ
যদিও এই গণণাকে মান্যতা দিতে রাজি ছিলনা আপ-কংগ্রেস জোট। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কুলদীপ সিং। সেখানেই গোটা বিষয়টি শোনার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, চণ্ডিগড়ের মেয়র নির্বাচনে যেটা হয়েছে তা গণতন্ত্রের নামে প্রহসন। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে’। এরপর প্রিসাইডিং অফিসারকেও তলব করা হয় সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন : ১০ লক্ষ কোটির প্রকল্প, কর্মসংস্থান ৩৪ লাখ মানুষের! ভোটের আগে বড় ঘোষণা মোদীর, কারা পাবেন চাকরি?
আর তার আগেই ঘটে গেল বড় রদবদল। মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ সোনক। এদিকে পদ্ম শিবিরে নাম লেখালেন আপের তিন কাউন্সিলর। অর্থাৎ আপ-কংগ্রেস জোটের এবার এমনিই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার আশা নেই বললেই চলে। এক ধাক্কায় ১৪ থেকে ১৭ তে পৌঁছে গেল বিজেপির আসন সংখ্যা। ওদিকে জোটের আসন সংখ্যা ২০ থেকে নেমে হল ১৭। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে নির্বাচনের নির্দেশ দিলেও বিজেপির জয় একপ্রকার নিশ্চিত।