বাংলা হান্ট ডেস্ক : বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ। ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে দায়ের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আপিল মামলার শুনানি হয় গত বুধবার। ডিভিশন বেঞ্চে টানা প্রায় চার ঘণ্টা শুনানি হয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানান, শুক্রবার বেলা একটায় রায় ঘোষণা করা হবে। কথা মতই সেই রায় এল আজ।
এই আপিল মামলার শুনানিতে পর্ষদকে দোষী বলে দাবি করেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশও। ডিভিশন বেঞ্চে কর্মচ্যুতদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘সিঙ্গল বেঞ্চে মামলায় যুক্ত ছিলেন না এই শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্যও যে শোনা উচিত–সেই দাবি কেন জানায়নি পর্ষদ?’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে আছেন, মানিক ভট্টাচার্য জেলে আছেন, তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে এই শিক্ষকদেরও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে হবে, এই সিদ্ধান্ত কী ভাবে গ্রহণ করা যায়!’
কল্যাণ আরও বলেন, ‘সিঙ্গল বেঞ্চে যাঁরা মামলা করেছিলেন, তাঁরা আসলে আদালত বেছে তার পর মামলা করেছেন। ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত তাঁরা কোথায় ছিলেন? বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে এর আগে মামলা হয়েছে। বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর এজলাসেও মামলা হয়েছে। তাঁরা বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছেন। সেই নির্দেশ নিয়ে তো কেউ কোনও আপত্তি তোলেনি।’