আবারও অসমে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো মাদ্রাসা, জেহাদি যোগ স্পষ্ট, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে অসমের (Assam) বঙ্গাইগাঁও (Bongaigaon) এলাকায় একটি অবৈধ মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দিল অসম সরকার (Assam Government)। জানা যাচ্ছে মাদ্রাসাটির নাম মারকাজুল মা আরিফ করিয়ানা। এই মাদ্রাসায় মোট ২২৪ জন শিশু পড়াশুনা করত। এবং এটি ছিল একটি আবাসিক মাদ্রাসা। গতকাল মধ্যরাতে শিশুদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তারপর চালানো হয় বুলডোজার।

কিন্তু কী অভিযোগে ভাঙা হলো এই মাদ্রাসা? বঙ্গাইগাঁও-এর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মাদ্রাসা সরকারি নিয়ম অনুসারে নির্মিত হয় নি। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে এই মাদ্রাসার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে। এই মাদ্রাসাটি হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যুক্ত। তিনি এই মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক। ২৬ অগস্ট তাকে একিউআইএস এবং আনসার-উল-বাংলা দলের সদস্য হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ

এছাড়া, সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভুমিকম্পের সিসমিক জোন ৫-এ থাকার কারণে যে কোনও সময় যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই মাদ্রাসাটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করে অসম সরকার। এটি অসমের তৃতীয় মাদ্রাসা, যা অবৈধভাবে নির্মাণের কারণে ভেঙে ফেলা হল। এর আগে মনিকা ও গোয়ালপাড়ায় দুটি মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তাদের সঙ্গেও জিহাদিদের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত মারকাজুল মা আরিফ করিয়ানা মাদ্রাসার সঙ্গে কোনও অসামাজিক কার্যক্রমের জড়িত থাকার খবর পুলিস অথবা সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে জানানো হয়নি।

medium

এই বছরের মার্চ মাসে অসম পুলিশ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং রাজ্যে জিহাদি স্লিপার সেল তৈরি করার অপরাধে একজন বাংলাদেশী নাগরিক সহ প্রায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, ‘অসম পুলিশ ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদা এবং বাংলাদেশের আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বেশ কয়েকটি মডিউল ধ্বংস করেছে। এই উগ্রবাদী সংগঠনগুলি রাজ্যের যুবকদের উগ্রপন্থী কার্যকলাপে সক্রিয় করার চেষ্টা করছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে সাম্প্রতিক অতীতে কিছু মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে চরমপন্থী সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জনগণকে, বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন এলাকার মসজিদ বা মাদ্রাসায় কোনও অপরিচিত ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে দেখলে পুলিশকে জানাতে।

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘এরা মাদ্রাসা নয়, এক একটা জঙ্গী কেন্দ্র চালাচ্ছে। আশ্চর্যজনকভাবে, এই সমস্ত কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল এক একটি মাদ্রাসা। আমি সবাইকে এক করে ফেলছি না, কিন্তু আজ পর্যন্ত যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মাদ্রাসার সঙ্গে কিছু না কিছু যোগাযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই তারা কোনও মসজিদে প্রচারক হিসাবেও কাজ করছে’।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর