বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পাকিস্তান (Pakistan) চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে। পাশাপাশি, গত বছর পাকিস্তানে ঘটা ভয়াবহ বন্যার জেরে দেশটিতে দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কটও। তবে, ঠিক এই আবহেই এবার সামনে এল একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জানা গিয়েছে, সিন্ধ প্রদেশে এবার সরকারি গুদাম থেকেই ৪০,০০০ টন গম চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার বাজার মূল্য হল প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
শুধু তাই নয়, সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল এই চুরির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ৬৭ জন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তাঁদের উদ্দেশ্যে শোকজ নোটিশও জারি করা হয়েছে। মূলত, খাদ্য দফতরের কর্মীদের যোগসাজশেই ওই চুরির ঘটনা ঘটে। যার ফলে ১০ টি জেলার সরকারি গুদাম থেকে প্রায় ৪০,৩৯২ টন গম চুরি হয়ে যায়। যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধ প্রদেশের দাদু, কম্বার-শাহদাদকোট, লারকানা, নবাবশাহ, জাকোবাবাদ, খয়েরপুর, শুক্কুর, ঘোটকি, সাংঘর এবং মিরপুরখাসের গুদামগুলি।
এদিকে, জানা গিয়েছে বরখাস্ত করা ওই ৬৭ জন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে ৪৯ জন ফুড সুপারভাইজার এবং ১৮ জন ফুড ইন্সপেক্টর রয়েছেন। পাশাপাশি, কেন তাঁদের নিজ নিজ পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে না, সেই প্রসঙ্গে খাদ্য দফতরের তরফে সঠিক ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, খাদ্য দফতর দাবি করেছে যে, যেকোনো রকম দুর্নীতির বিরুদ্ধেই তাদের “জিরো টলারেন্স পলিসি” রয়েছে।
গমের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে পাকিস্তানে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কয়েক সপ্তাহ আগেই গমের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক থাকার কারণে পাকিস্তানের একাধিক বাজারে প্রায় পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। এহেন বেশকিছু খবর সামনে এসেছিল দেশের খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধ এবং বেলুচিস্তান প্রদেশ থেকে। এদিকে বর্তমানে, রাশিয়া-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি করতে বাধ্য হয়েছে ওই দেশ।
এমতাবস্থায়, পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডন মারফত জানা গিয়েছে যে, চলতি মাসের শুরুতে একটি রাশিয়ান জাহাজ ৫০,০০০ টন গম নিয়ে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, একজন আধিকারিক জানান, এটি বন্দরে আসা গম বহনকারী দ্বিতীয় রাশিয়ান জাহাজ। এছাড়াও, তিনি আরও বলেন “রাশিয়া নয়টি পণ্যবাহী জাহাজের মাধ্যমে পাকিস্তানে ৪,৫০,০০০ টন গম সরবরাহ করবে।” তবে, এই আবহেই এবার বিপুল পরিমান গম চুরির খবর মিলল পাকিস্তান থেকে।