বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাড়ি ফেরার পথে যে মর্মান্তিক ভাবে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ দিতে হবে, তা ঘুণাক্ষরেও ঠাওর করতে পারেনি বেশকিছু পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant workers)। কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়ে, পাঞ্জাব থেকে নিজেদের ভিটেয় ফিরছিল এই শ্রমিকরা। ঔরঙ্গাবাদের ঘটনার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে ফিরতে নিষেধ করার পরও, বাসের চাকার পিষ্ট হল ৬ পরিযায়ী শ্রমিক।
ঘটনার বিবরণ
বুধবার রাত প্রাত ১১ টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজাফফরনগরে ঘটে এই দুর্ঘটনা। লকডাউনের জেরে পায়ে হেঁটেই তারা পাঞ্জাব থেকে বাড়ির উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু তাঁদের আশা অধরাই থেকে গেল। সরকারী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারাল ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক, এবং আরও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়
আমচকাই ঝড়ের গতিতে একটি সরকারী বাস তাঁদের দিকে ধেয়ে আসে। তাঁদের দেখেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে পিষে দিয়ে চলে যায়। জায়গাতেই ৬ জনের দেহ দলা পাকিয়ে যায়, সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁদের। আরও বেশ কয়েকজন বাসের ধাক্কায় মারাত্মক জখম হয়ে কাতরাতে থাকে। অঞ্চলটি অন্ধকার থাকায় ঠিক মতো দেখতেও পায়না প্রতক্ষ্যদর্শীরা। পরবর্তীতে সকলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে যানা যায়
মৃতরা সকলেই পাঞ্জাব থেকে ফিরছিলেন। এই পরিযায়ী শ্রমিকরা গোপালগঞ্জ, বিহার এবং ভোজপুরের বাসিন্দা ছিল। দুর্ঘটনার বাসটিতে কোন যাত্রী না থাকার কারণে ড্রাইভার হয়ত বেশ জোরেই বাসটি চালাচ্ছিলেন। যে কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়।
দুঃখ প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
এই দুর্ঘটনার জেরে মর্মাহত হন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ভবিষ্যতে যাতে আর কোন পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হেঁটে বাড়ি না ফেরেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের ফের নির্দেশ দেন।
বুধবার গভীর রাতে মধ্যপ্রদেশের গুনায় আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে এক ট্রাকের সঙ্গে এক বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এবং আহত হয় আরও ৫৪ জনের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক।