বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমাদের আশেপাশে আমরা অনেকসময়ই এমন ঘটনা দেখে থাকি, যেখানে তারস্বরে গান বাজার কারণে সমস্যায় পড়েছেন পাড়ার বয়স্ক মানুষেরা। কিন্তু এবার সেই আওয়াজ প্রাণ কাড়লো অসহায় মুরগিদের। হ্যাঁ উড়িষ্যার বালাসোরে উচ্চস্বরে ডিজে বাজায় মৃত্যু হয়েছে ৬৩ টি মুরগির। এবার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করলেন পোলট্রি ফার্ম মালিক। এই অভিনব অভিযোগ দেখে চোখ কপালে উঠেছে স্থানীয় পুলিশ কর্তাদের।
উড়িষ্যার নীলগিরিতে এই ঘটনা ঘটার পর নিজের লোকসানের কথা পুলিশ স্টেশনে জানিয়েছেন পোলট্রি ফার্ম মালিক রনজিৎ পারদিয়া। নীলগিরির ছোট একটি গ্রাম কান্দাগরদি-র বাসিন্দা রনজিৎয়ের অভিযোগ, একইসাথে তাঁর খামারের ৬৩টি মুরগি সন্দেহজনক ভাবে মারা গিয়েছে। তার সন্দেহ ডিজের শব্দ প্রাবল্যের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাদের। তার অভিযোগ ছিল প্রতিবেশী রামচন্দ্র পারদিয়ার বিরুদ্ধে। তার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই ডিজে বাজানো হয়েছিল।
থানায় রনজিৎয়ের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন পুলিশ। সেই অভিযোগ অনুযায়ী গত রবিবার বেলা ১১টা বেজে ৩০ মিনিটে রামচন্দ্রের বাড়িতে ডিজে বাজানো শুরু হয়। সেই সময় থেকেই তার মুরগিদের আচরণে অস্বাভাবিকতা নজরে পড়ে রনজিৎয়ের৷ ডিজের গান শুনে চিৎকার করতে থাকে মুরগিগুলি৷ তারপর নাকি ডিজের আওয়াজ আস্তে করার অনুরোধ করেছিলেন রনজিৎ। তবে তাতে লাভ হয়নি। স্থানীয় পশু চিকিৎসককে ডেকেও বাঁচানো যায়নি মুরগিগুলিকে।
পোলট্রি ফার্ম খুলে জীবিকা নির্বাহ করলেও আদতে রনজিৎ একজন ইঞ্জিনিয়ার। প্রযুক্তিবিদ্যায় স্নাতক হওয়ার পর চাকরি না পেয়ে বাধ্য হয়েছেন পোলট্রির ব্যবসা করতে। দুই বছর আগে সালে স্থানীয় একটি ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষ টাকার লোন নিয়ে পোলট্রি খোলেন তিনি। রবিবার এই ঘটনা ঘটার পর প্রতিবেশী রামচন্দ্রের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন রনজিৎ। প্রথমে তা দিতে অস্বীকার করেছিলেন রাম। বাধ্য হয়েই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন রনজিৎ। পুলিশ আসায় নরম হন রামচন্দ্র। পরে দুই পক্ষই থানায় এসে সমস্যার সমাধান করে ফেলেছে।