দেশের ভবিষ্যৎ যাতে উজ্জ্বল হয় তার জন্য ভারত (India) সরকার হাত ধুয়ে কাজে নেমে পড়েছে। দেশের পুরানো সমস্যার সমাধান ও আগত সমস্যার সমাধানের উপর কাজ করা হচ্ছে। ভারতে জ্বালানী উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা হ্রাস করতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCIL) পারমাণবিক কেন্দ্রগুলির নির্মাণকে ত্বরান্বিত করেছে। শুক্রবার ইন্ডিয়ান এনার্জি ফোরামের এক কর্মসূচির সময় পারমাণবিক শক্তি বিভাগের সচিব কেএন ব্যাস বলেছেন, বর্তমানে দেশে ৭ টি পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। এ ছাড়া শিঘ্রই ১৭ টি নতুন প্ল্যান্টের কাজ শুরু হবে।
ব্যাস বলেছেন, আমরা একসাথে বৃহত আকারে উদ্ভিদের নির্মাণ কাজ শুরু করতে যাচ্ছি, যাতে সেগুলি তৈরির জন্য ব্যয় এবং সময় উভয় হ্রাস করা যায়। এনপিসিআইএল গত বছর বলেছিল যে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে ২১ টি পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ হবে।
ব্যাস বলেছেন, ভারত পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে একজন পুরানো খেলোয়াড়। এশিয়ার প্রথম পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রও আমাদের দেশে নির্মিত হয়েছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের পথ বেশ কঠিন ছিল, সেই সময়ের মধ্যে আমরা 22 টি পারমাণবিক প্ল্যান্ট তৈরি করতে পারতাম।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন ভারত সরকার পরিবেশ দূষণের নিয়ন্ত্রণ এর জন্য যে কাজ করছে সেক্ষেতেও এটা বড়ো পদক্ষেপ। এর আগে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতারাইস বলেছিলেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারত তার মৌলিক অংশীদার এবং এই কাজের জন্য দুর্দান্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। জাতিসংঘের প্রধান বলেছেন, “আমি যখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে কথা বলছিলাম তখন তিনি অনেক গুলি জিনিসের মধ্যে অন্যতম যেটা করতে চেয়েছিলেন সেটা হলো পারমাণবিক শক্তি যোগ করা।” এটি এমন একটি বিষয় যার আমরা শ্রদ্ধা করি।