বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এ রাজ্যে ডিএ নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। এদিকে পড়শি রাজ্য বিহারে নাকি বেতনই পাচ্ছেন না রাজ্য সরকারি কর্মীরা (Government Employees)। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর শুরুতেই সে রাজ্যের সরকার ‘কমপ্রিহেনসিভ ফিন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ২.০’ চালু করেছিল। তবে এই সফটওয়্যার সিস্টেমে সমস্যা থাকায় অর্থাৎ প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আটকে গিয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ কর্মীর বেতন।
শুধুই কি সরকারি কর্মচারী! যান্ত্রিক ত্রুটিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের বিধায়ক, মন্ত্রীরাও সময় মতো বেতন পাননি। ৩ লাখ আঞ্চলিক কর্মী, ৫ লক্ষ শিক্ষক, ৫০ হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মীরও হাতে বেতন আসেনি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির বেতন পাননি তারা। এই সমস্যা নিয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর সরকার জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্র সমস্যর সমাধান হবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারীতে এসেও সেই জট খোলেনি।
প্রায় দুই মাস থেকে লাখ লাখ কর্মীর অ্যাকাউন্টে বেতন ঢোকেনি। কবে এই সমস্যা মিটবে তাও জানা নেই। সবমিলিয়ে বহু কষ্টে দিন কাটছে তাদের। উল্লেখ্য, প্রতি মাসে কর্মীদের বেতন দিতে বিহার সরকারের ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। এই আগে ২০১৯ সালে কমপ্রিহেনসিভ ফিন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করেছিল সে রাজ্যের সরকার। সেই পদ্ধতিরই নবতম সংস্করণ চালু করা হয় চলতি বছরে।
এদিকে কিছুদিন আগে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল বিহার সরকার। গত নভেম্বর মাসে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো ৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধির কথা জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে সেই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে বলে ঘোষণা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এবার কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি নিয়ে টানাটানি! পর্ষদকে বিরাট নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধির সেই ঘোষণা অনুযায়ী, সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্ত মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩ শতাংশ, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র সমান। তবে এরই মাঝে বেতন জটে ভুগছেন সে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।