মমতা ব্যানার্জী রাজ্যপালকে বারন করেছিলেন ক্যাম্পাসে যেতে, কিন্তু তিনি চলে যান : তৃণমূল

বাংলা হান্ট ডেস্ক :  যাদবপুর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বারণ অমান্য করায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস৷ বৃহস্পতিবার যাদবপুর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে আটকে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে যেতে মানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবু রাজ্যপাল সেই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে বিক্ষোভ থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করার ঘটনা নিয়ে এক বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল তৃণমূল৷ পাশাপাশি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় রাজ্যপালের বক্তব্য কেউ প্রদান করল রাজ্যের শাসক শিবির৷ তৃণমূলের তরফ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে,  ”এটা দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করতে চলে যান রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারকে অবহিত না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাদবপুর গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক একটা ঘটনা ঘটে বিজেপির ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে।রাজ্য পুলিশ বাইরে দাড়িয়ে ছিল। কিন্তু উপাচার্য সাহায্য না চাওয়ায় তারা ঢুকতে পারে নি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই রাজ্যপাল রওনা হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।” 19091 pti9 19 2019 000286b

জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার এবিভিপি র অনুষ্ঠানে গিয়ে যখন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মাঝে আটকে যান তখন তাঁকে উদ্ধার করতে যাদবপুর ক্যাম্পাসে পৌঁছে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধন কর৷ কিন্তু যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন তিনি৷ তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সেই মুহূর্তে ক্যাম্পাসে না গিয়ে রাজ্য সরকারকে একটু সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করেই রাজ্যপাল ক্যাম্পাসে পৌঁছে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে আনেন৷

এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যেমন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে ঠিক একই ভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল৷ পুলিশি শাসন ব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি৷ তবে এই ঘটনার সঙ্গে টিএমসিপি বা পুলিশ জড়িত ছিল না বলে দাবি করেছে তৃণমূল পাশাপাশি পুলিশ নিরাপদে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে বের করে এনেছে তাই নিন্দা করা উচিত নয় বলেও জানানো হয়েছে৷

 

সম্পর্কিত খবর