অমিত সরকারঃ সামনে বিধানসভা উপনির্বাচন। নাকের ডগায় যেন নিঃশ্বাস ফেলছে ওপর বিরোধী দলগুলো। কিন্তু তার মধ্যেই নিজের শক্তিতে অনড় বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন তখন অপরিচিত মুখ থেকে অনেকেই হয়তো চিনতে পারেনি। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিশ্রমের আঙ্গিনায় তিনি পরিচিত হয়েছেন এক রাজনীতিবিদ হিসাবে। ধীরে ধীরে নিজের পরিসর আরও বৃদ্ধি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের দুয়ার থেকে দিল্লির দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের অভাব অভিযোগ। দলের মধ্যে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন অন্যতম হিসেবে।
প্রসঙ্গত তিনি রাষ্ট্রপতি সাথে বিদেশ সফরে গিয়েছেন নিজের ব্যক্তিগত শৌর্যের মাধ্যমে। আর এবার কালিয়াগঞ্জ এর উপনির্বাচনের ডঙ্কা বাজতেই বিধানসভা কেন্দ্রে তার প্রতিফলন শুরু হয়েছে। ট্রেনের যোগাযোগ এর দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে রায়গঞ্জ কালিয়াগঞ্জ ইটাহারের মত উত্তর দিনাজপুরের এক বিস্তীর্ণ এলাকা। যার জন্য এখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ক্ষোভের পুঞ্জিভূত বহিঃপ্রকাশ সব সময় ঘটে থাকে। কলকাতা ট্রেন অনেকদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে সাংসদরা। পূর্ববর্তী সাংসদ মোহাম্মদ সেলিম এ বিষয়ে বারবার দিল্লি দরবারে কড়া নাড়লেও শেষ পর্যন্ত তার মেয়াদকাল ফুরোবার আগে চালু করে যেতে পারেননি সেই ট্রেনটি।
অন্যদিকে অন্ধের যষ্টি হিসাবে উত্তর দিনাজপুরের মানুষের একটি ট্রেন রয়েছে তা হলো রাধিকাপুর কলকাতা ট্রেন। যা সন্ধ্যা ছটা দশে কালিয়াগঞ্জ থেকে ছেড়ে চিতপুর স্টেশন অব্দি যায়। এই ট্রেনের উপর নির্ভর করে থাকে অসংখ্য যাত্রী। এমনকি ব্যবসায়ী এবং ডাক্তার মহলো এই ট্রেনের ওপর নির্ভর করে থাকে। সাধারণের জন্য এই ট্রেনে যেমন রয়েছে অনেক সুবিধা তেমনি একটু মধ্যবিত্তের উপরে উঠা মানুষগুলোর সুবিধার জন্য অনেকদিন ধরেই বাড়তি দাবি জানিয়ে আসছিল কালিয়াগঞ্জ। আর সেই দাবি এবার পূরণ হতে চলেছে সাংসদের হাত ধরে। রেল সূত্রে জানা গেছে কলকাতা থেকে বাড়তি এসি কোচ নিয়ে আগামী পয়লা ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করবে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। রেলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কালিয়াগঞ্জ বাসিরা এবং তার এই প্রথম প্রচেষ্টাকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছে। রাধিকাপুর কলকাতা দিনের বেলা ট্রেনের দাবি এখনই উড়িয়ে দিচ্ছে না ট্রেন কর্তৃপক্ষ তবে তা যে বেশ কিছুটা সময় লাগবে তা বলাই বাহুল্য।